চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সহ এলাকায় ডাকাতি বন্ধের ঘটনায় জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সীতাকুণ্ড থানার ওসির নানাবিদ জনবান্ধব কর্মকাণ্ডের কারণে গণমানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। ডাকাতি ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, ডাকাত দলের পুরোটিম গ্রেপ্তার, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্য, নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য চৌকস ও মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছেন ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম। তিনি সীতাকুণ্ডে মাদক, চুরি, ছিনতাই, সামাজিক দাঙ্গা ও নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে দলমত নির্বিশেষে এলাকার জন সাধারণের মাঝে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি গত ১০ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড থানায় যোগদানের পর থেকেই একাধিক মাদক ব্যবসায়ী হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আটক করে রীতিমতো অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করছেন। জনগণের আস্থার প্রতীক ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম সাহসিকতা পুলিশের সর্বোচ্চ পদক "পিপিএম" পাওয়ার পর এবারও প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার "আইজিপি ব্যাজ" পদক পেয়েছেন। তাছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে ১০ বার পদক পেয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি বাঁশখালী থানায় জনবান্ধব নানাবিদ কর্মকাণ্ডের কারণে একজন মানবিক ওসি হিসেবে জনগণের মাঝে অত্যন্ত সুপরিচিতি অর্জন করেছেন। জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত ওসি কামাল উদ্দিন বাঁশখালী থানা থেকে বিদায় নিয়ে আসার সময় এলাকাবাসী তাঁর গাড়ি ব্যারিকেড দিয়ে অনেকে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এলাকার জনসাধারণ আবেগে আপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে বিদায় দিয়েছেন। তিনি গত ১০ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড থানায় যোগদানের পর থেকেই প্রতি শুক্রবার জুমা নামাজের সময় মসজিদে বক্তব্য দিয়ে এলাকায় জনসাধারণকে ফৌজদারি অপরাধের বিষয়ে কাউন্সিলিং করছেন। তাছাড়াও বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও মাহফিলে মাদক, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। থানায় যোগদানের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানাবিধ জনবান্ধব কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি সীতাকুণ্ডে গণমানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, জনগণ পুলিশের বন্ধু, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা দিনরাত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রপতি পদক ও আইজিপি পদকসহ চট্টগ্রাম জেলায় দশবারের শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেদিন থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে দিয়েছি সেদিন থেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। উল্লেখ্য বিগত সময়ে সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি, হত্যা সহ আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছিল। ঐ সময় চুরি, ডাকাতি, দাঙা, হাঙ্গামা ও খুনের ঘটনা অনেকটাই স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছিল। তাছাড়া গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিশোর গ্যাং অরাধিদের; দৌরাত্মক ও তাদের উৎপাতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। যার কারণে এলাকার জনসাধারণ পুলিশের প্রতি অনেকটা আস্থা হারিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। বিগত ১০ ডিসেম্বর ওসিক কামালউদ্দিন পিপিএম সীতাকুণ্ড থানায় যোগদান করার পর মাত্র দুই মাসের মধ্যে আইশৃঙ্খলা রক্ষায় জনবান্ধব নানাবিধ কর্মকাণ্ডের কারণে এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।