ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গতকাল সোমবার সহ ২ দিনের অভিযানে মোট ১৫৪ জন গ্রাহকের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করেছেন ৫,২৫০ ফুট পাইপ। উপজেলা সদরের পশ্চিম কুট্রাপাড়া, দর্জিপাড়া, হালুয়াপাড়া, দক্ষিণ আরিফাইল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা এই অভিযান গুলো পরিচালনা করেন। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, জেলা ও সরাইল থানার পুলিশ সদস্যরা। নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর সূত্র জানায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল সকালে সরাইল সদরের পশ্চিম কুট্রাপাড়া ও দর্জিপাড়া এলাকায় অভিযান চালোনো হয়। অভিযানকালে মোট ৮৫ জন গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মাটির নীচ থেকে ওই গ্যাস সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত ৩৭০০ ফুট পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত ৬ মার্চ বুধবার বিকেলে সরাইল সদরের হালুয়াপাড়া ও দক্ষিণ আরিফাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬৯ টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ১৫৫০ ফুট পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। উভয় অভিযান পরিচালনা করেছেন সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা। অভিযানে সহযোগিতা করেছেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পনী লিমিটেড-এর প্রতিনিধি, জেলা ও সরাইল থানার পুলিশ সদস্যরা। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা বলেন, অবৈধ পন্থায় জাতীয় সম্পদ চুরি করে দেশের ক্ষতি করা হচ্ছে। বৈধ গ্রাহকদের কষ্ট দেয়া হচ্ছে। এসব কাজের সাথে শুধু গ্রাহক নয় কতিপয় ঠিকাদারও জড়িত রয়েছেন। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রসঙ্গত: বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো. শাহ আলম বলেছিলেন,সরাইলে গ্যাস সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে অগণিত অবৈধ সংযোগ। এই অবৈধ সংযোগের অনিয়মের সাথে ঠিকাদার ও গ্রাহক জড়িত। আমরা তালিকা করেছি। শতশত মামলা দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে লাইন কেটে দিচ্ছে। আমরা রেগুলেটর উদ্ধার করে নিয়ে আসি। চুরেরা আবার রেগুলেটর ক্রয় করে নিয়ে আসে।