পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন নদীতে অবাধে বালু-পাথর উত্তোলণ। অপরিকল্পিতভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ফসলি জমি ভাঙ্গছে। পঞ্চগড় জেলার উপর দিয়ে আন্তঃসীমান্ত প্রবাহিত বড় ৬ টি এবং ছোট ৩৩টি নদীসহ মোট ৩৯টি নদী গোটা জেলার বুক চিরে ভাটির দেশে বয়ে গেছে। এসব নদীর মধ্যে ডাহুক, করতোয়া, ভেরসা, গোবরা ও মহানন্দা নদী থেকে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি মহল অবাধে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু-পাথর উত্তোলণের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও দিন ও রাতে দেদারছে পাথর উত্তোলন করে আসছে। এভাবে বালু পাথর উত্তোলণ করার ফলে ডাহুক, গবরা, করতোয়া ও ভেরসা নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় নদীর দুপাশের ফসলি জমি ভাঙ্গন কবলে পড়েছে। কিন্তু নদী গর্ভে অবৈধভাবে পাথর-বালু উত্তোলণ চক্রটির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ জমি ও চা বাগান মালিকেরা অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছে না। এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের জোড় তৎপরতা থাকা সত্তেও প্রশাসনের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নদীর উত্তোলিত বালু-পাথর পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের ধারে স্তুপ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। হাইওয়ে পুলিশের সামনে সড়কের উপর ট্রাক লোড-আনলোড করে আসছে। ফলে সাধারণ যানবাহন পথচারীদের চলাচলে দূর্ভোগের পাশাপাশি দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। অতিসম্প্রতি এদিকে গত ৭ মার্চ /২০২৪ তারিখে উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাহুক নদী থেকে পাথর উত্তোলনের সময় পাথর বহনকারী ৬টি ট্রলি জব্দ করে উপজেলায় পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসে। এরআগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী/২০২৪ তারিখে ডাহুক নদী থেকে ৬টি ট্রলি আটক করা হয়। পরে ট্রলি মালিকরা এসে পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত হবে না মর্মে লিখিত স্বীকারোক্তি দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ফজলে রাব্বি প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও উক্ত জমিতে পাথর ও বালি উত্তোলন অব্যাহত আছে। ভূগর্ভস্থ হতে মাটি খনন করে কেউ যাতে পাথর ও বালি উত্তোলন করে আবাদি জমির ক্ষতি সাধন, জমির শ্রেনী পরিবর্তন না করে এজন্য ট্রলিগুলো জব্দ করা হয়েছে।