নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রথম রমজানেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়িরা। রমজান শুরুর পুর্বে যে দাম ছিল তার চেয়ে কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। দামের কথা তুললে ব্যবসায়ির সাথে ক্রেতার ঝগড়া লেগে যায়। আর এ সময় ব্যবসায়িদের সমিতির লোকজন এসে উল্টো ক্রেতাকে অপমানিত করে থাকে। সিন্ডিকেট না ভাঙ্গা পর্যন্ত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে অনেক ক্রেতার মন্তব্য। মঙ্গলবার সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে গেট বাজার, আধুনিক পৌর সবজী বাজার ও কলা মার্কেট সবজী বাজার গিয়ে দেখা যায় রমজান শুরুর পুর্বে এবং রমজান শুরুতে বিভিন্ন সবজী এবং মাংসের দামের বিশাল তারতম্য। বাজারে যে করল্লা রমজানের পুর্বে বিক্রি ছিল ৫০ টাকা তা রমজান শুরুর পর হয়েছে ৮০ টাকা। বেগুন ছিল চিকন ৩০ টাকা তা এখন হয়েছে ৮০ টাকা। বেগুন ডোপা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। আলু কাটিনাল বড় ছিল ২০ টাকা কেজি তা এখন বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। দেশী আলু ছিল ২৫ টাকা কেজি এখন হয়েছে ৩৫ টাকা। কপি কয়েকদিন পুর্বে ছিল ধারা ৩০ টাকা তা এখন কেজি হয়েছে ৩০ টাকা। টমেটো ছিল ১০ টাকা এখন বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। সিম চিকন সাদা ৮০ টাকা। পেয়াজ কাচা ১৪০ টাকা কেজি এবং হাইব্রিড শুকনা ২৪০ টাকা কেজি। আদার কেজি ২৪০ টাকা। বাধা কপি কেজি ৩০ টাকা। লেবু ১০ টাকার হালি এখন ৪০ টাকা। এদিকে লাল শাক কেজি ৪০ টাকা, পুইশাক ৩০ টাকা, কুমড়ো শাক ২৫ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, নাপা ও হাপা শাক ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এবার মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা। গরু মাংস হাড়সহ প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, খাসি ও ছাগলের মাংস ১ হাজার টাকা। মুরগীর দামও কম নয়। দেশী মুরগী ছিল কেজি প্রতি দাম ৫শ টাকা তা এখন হয়েছে ৫৮০ টাকা। সোনালী এক নম্বর ৩২০ টাকা, দুই নম্বর ৩শ টাকা। বয়লার ২৮০ টাকা। বাজারে আসা ক্রেতা আনোয়ার হোসেন ও রনি খান জানান, প্রত্যেক জিনিসের দাম ব্যবসায়িরা বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেজিতে তারা দাম বেশী নিচ্ছেন ৩০ থেকে ৪০ টাকা। দাম নিয়ে কথা বলতে গেলে নিজেকে অপমানিত হতে হয়। সৈয়দপুর সবজী ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি জয়নুল হক জানান, প্রত্যেক সবজীর দাম বেড়ে গেছে। তাই আমরাও কেজিতে বাড়তি দাম নিয়ে থাকি। সৈয়দপুর উপজেলা মাংস ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি নাদিম হোসেল বলেন, বাজারে দাম বেড়ে গেলে আমরা কি করবো। গরুর দাম যখন কমে তখন মাংসের দামও কমে যায়। বাড়লে দামও বাড়ে। সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সরকার ইউনুস কবির বলেন, হু হু করে বাড়ছে জিনিসের দাম। এটি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে জনগন কেমন করে বাঁচবে।