২০২২ সালে মারা যাওয়া শিশুদের সংখ্যা ঐতিহাসিক সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। গতকাল বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের ইন্টার-এজেন্সি গ্রম্নপ ফর চাইল্ড মর্ট্যালিটি এস্টিমেশন (ইউএনআইজিএমই)। ইউএনআইজিএমই প্রকাশিত সর্বশেষ অনুমানে এ সংখ্যা ৪৯ লাখে নেমে এসেছে। পাঁচ বছর বয়সের আগেই এসব শিশুদের মৃতু্য হয়। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এই খবর জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, 'যদিও অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে, তবে প্রতি বছর লাখ লাখ পরিবার এখনও জন্মের প্রথম দিনগুলোতে একটি শিশু হারানোর বিধ্বংসী হৃদয়বিদারক যন্ত্রণা ভোগ করে।' প্রতিবেদনটিকে বলা হয়, আগের তুলনায় বর্তমানে আরও বেশি শিশু বেঁচে আছে। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী অনূর্ধ্ব-৫ বছর বয়সী শিশুমৃতু্যর হার ৫১ শতাংশ কমেছে। বেশ কিছু নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে শিশুমৃতু্যর হার আরও বেশি কমেছে। প্রতিবেদনে উদাহরণ স্বরূপ কম্বোডিয়া, মালাউই, মঙ্গোলিয়া এবং রম্নয়ান্ডার কথা উলেস্নখ করা হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে দেশগুলোতে শিশু মৃতু্যহার কমে ৭৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। এর পেছনে ধাত্রী এবং দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, অগ্রগতি সত্ত্বেও প্রতিরোধযোগ্য শিশু এবং যুবকদের মৃতু্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়ে গেছে। ৫ বছর বয়সের আগে মারা যাওয়া ৪৯ লাখ শিশুর প্রায় অর্ধেক ছিল নবজাতক। এসময় ৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী যুবকদের মৃতু্যহারও বেশি ছিল। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই মর্মান্তিক জীবনের ক্ষতি প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধযোগ্য বা চিকিৎসাযোগ্য। কেননা, অকাল জন্ম, জন্মের সময় জটিলতা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া এবং ম্যালেরিয়া মতো প্রতিরোধ্যযোগ্য কারণে তাদের মৃতু্য হয়েছে। উচ্চমানের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আরও ব্যাপক প্রবেশের মাধ্যমে অনেক জীবন বাঁচানো যেত বলেও প্রতিবেদনটিতে উলেস্নখ করা হয়।