দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দাহ্যপদার্থ ছিটিয়ে বোরো ধানক্ষেতের চারা গাছ পুড়িয়ে দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতের কোন এক সময়ে ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়ারি ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামের মৃত কৃষ্ণপদ রায়ের ছেলে বিশ্বজিৎ রায়ের ৯৭ শতাংশ জমির বোরো ধানক্ষেতে। বিশ্বজিৎ রায় বলেন, তার পিতা কৃষ্ণপদ রায় ৭/০৯/১৯৯৭ সালে একই গ্রামের শ্রী দীগেন্দ্র কুমার সাহার কাছ থেকে গণিপুর মৌজার সিএস খতিয়ান নং-২১৩, এসএস খতিয়ান নং-২৩২, দাগ নং-১৬৬৬ এর এক একর ৫৫ শতাংশ জমির মধ্যে ৯৭ শতাংশ জমি ৩৯১৩ নং কবলা দলিল মূল্যে ক্রয় করেন। যার খারিজ খতিয়ান নং-৬৪৪। পিতা কৃষ্ণপদ রায়ের মৃত্যুর পর আকস্মিকভাবে একই ইউনিয়নের খাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে হাসান আলী ও ফয়জার রহমান ওই জমি নিজেদের দাবি করে জোর জবরদখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই অংশ হিসেবে জমিটি দখলের জন্য একাধিকবার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে চেষ্টা করে এবং ২০২১ সালে জমিতে লাগানো ধান কেটে নিয়ে যায় জোরপূর্বক। এক পর্যায়ে তারা আদালতে তারা ওই জমিতে প্রবেশ করবে না এমন অঙ্গীকারও দিয়ে এসেছে। ওই দুইভাই আবারো শত্রুতামূলকভাবে ওই জমিতে লাগানো বোরো ক্ষেতের চারা গাছে দাহ্যপদার্থ ছিটিয়ে দিয়ে চারা গাছ পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্বজিৎ রায়ের মা বীনা রানী গত বুধবার (১৩ মার্চ) ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ওই জমির বিশ্বজিৎ রায়ের বর্গাচাষি শ্রী তারুণীকান্ত ও আব্দুল বারী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বিশ্বজিৎ রায়ের জমিটি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা বারংবার জমির ফসল নষ্ট করছে। এতে আর্থিকভাবে তারা লোকসানে পড়ছেন। হাসান আলী ও ফয়জার রহমান জমিতে দাহ্যপদার্থ ছিটিয়ে ধানগাছের চারা নষ্টের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিশ্বজিৎ রায়। ওই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থ নেওয়া হবে।