কয়রায় আদিপাত্যর জের ধরে ছাত্রলীগের ২ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহতরা হলেন উপজেলার ঘুগরাকাটি গ্রামের আহসান সানার ছেলে আবির হোসেন (১৭) আবির চলমান এস এসসি পরিক্ষার্থী ও একই গ্রামের হাবিবুল্লাহ ( ১৮)। আহতরা বর্তমানে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এরা সবাই দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) রাত আনুমানিক ৮ টায় উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ঘুগরাকাটি বাজার এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। আহত আবির হোসেন ও হাবিবুল্লাহ জানান, পুর্ব শ্রুততার জের ধরে তারা ঐ দিন রাতে মসজিদ থেকে বের হলেই আগে থেকে অতপেতে থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবল সানার ছোট ছেলে নাঈমের নেতৃত্বে একই গ্রামের তুহিন মোড়ল, আবু হাসান, বাইজিদ মোড়ল, সিব্বির মোড়ল, তৈয়েবুর গাজি,মতিউর গাজিসহ ১০-১৫ জন লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এসময় ব্যাপক মারপিট করে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতরা বলেন, নাঈম দীর্ঘদিন স্থানীয় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রেণর মাধ্যমের এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ পরিচালনা করে আসছে। স্থানীয় ও আহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদসের ছেলে নাঈম হোসেন দীর্ঘ দিন এলাকায় মারামারি ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন ও কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ করেন। আহতরা কেন তাদের কাজে বাধা দেন এটাই তাদের অপরাধ। সেই কারনেই তাদেরকে মারপিট করা হয়। আহতদের পরিবার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবল সানার ছেলে নাঈম হোসেন জানান, দলীয় কোন মারামারি হয়নি। আর আমি তাকে মারি নাই। আমি বরং সমাধানের চেষ্টা করি ২ পক্ষের মারামারি। কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ঘুগরাকাটি যে ঘটনা ঘটেছে তা জানার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলের গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।