মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আলোচিত ডালিম দেওয়ান (৩৯) হত্যাকাণ্ডে জড়িতের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন পরবর্তী প্রতিবাদ সভা করেছে নিহতের স্বজনরা। ডালিমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ৯দিন পার হলেও এই ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারিনি পুলিশ। রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে বাউশিয়া ইউনিয়নের পুড়াচক বাউশিয়া গ্রামে নিহত ডালিমের বাড়িতে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ডালিমের বড় ভাই আমিনুল দেওয়ান,ফরিদ হোসেন দেওয়ান, নুরুল ইসলাম মাস্টার,আল আমিন দেওয়ান, আবুল বাশার মাস্টার, জসিম সরকার, ইউপি সদস্য ডালিম মেম্বার। তার বক্তব্যে বলেন নিহত ডালিমের বড় ভাই আমিনুল দেওয়ান বলেন ,ডালিম হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার আগে কারা ডালিমের সাথে ছিলো তা সবাই জানে তবে তাদের কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়নি অন্যদিকে ডালিমের মোবাইল ফোনটি হত্যাকাণ্ডের পর দুইদিন চালু থাকলেও তা উদ্ধার করতে পারিনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ আন্তরিক নয় দাবি করে পুলিশি তৎপরতা বাড়িয়ে দ্রুত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আবুল মাস্টার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চাইলে অনেক আগেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারতো। আমরা এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবহেলা দেখতি পারছি। ডালিম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে দরকার হলেও আমরা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাবো। গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, লাশ উদ্ধারের পরদিন ৮মার্চ বিকালে নিহতের বড়ভাই আমিনুল দেওয়ান বাদি হয়ে অজ্ঞানামা আসামিদের নামে গজারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য,গত ৮ মার্চ নদীতে ভাসমান অবস্থায় ডালিম দেওয়ানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামের মৃত ইসমাঈল দেওয়ানের ছেলে। ৬মার্চ বিকালে ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ডালিম।