ডা. দীপু মনি বলেছেন, হত্যা করার সময় হত্যাকারীরা মনে করে একজন মানুষকে হত্যা করলেই তার আদর্শকে হত্যা করা যাবে। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না।
রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা সেই সোনার বাংলা আর গড়তে পারলাম না। এরপর সামরিক শাসক এসে বঙ্গবন্ধুর নামই আমাদের ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে দেওয়া হলো। আমরা অনেক বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর ইতিহাসকে তার ঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ পেয়েছি। এখন তার কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের পথ দেখাবে কে? আমাদের পথ দেখাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি অসম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, একটি উদার মানবতাবাদী, সুখী, শান্তিময়, বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত একটি স্বাধীন স্বদেশ নির্মাণ করতে এবং আত্মমর্যাদাশীল স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তিনি সোনার মানুষ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। আর নতুন প্রজন্মই হচ্ছে সেই সোনার মানুষ।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরন দাস, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদাত হোসেন শান্ত প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমির আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অন্যান্য অতিথিরা।
আলোচনা সভার আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সবশেষ স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।