বাবা অসুস্থ হয়ে শষ্যাশয়ী। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি চরম অর্থনৈতিক সংকটে পরেছে পরিবার। এরমধ্যে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হয়েও চাকরি না পেয়ে হতাশা গ্রস্থ শুভদ্বীপ কর্মকার (২৬) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর ঝাউতলা দ্বিতীয় গলির নিজ বাসায়। শুভদ্বীপ ওই এলাকার পক্ষাঘাতগ্রস্ত রণজিৎ কর্মকারের একমাত্র ছেলে। সোমবার দুপুরে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুভদ্বীপের একমাত্র বড় বোন স্বর্ণা কর্মকার জানান, তাদের বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবার ঋণগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি চরম অর্থনৈতিক সংকটে পরেছে। এরমধ্যে তার একমাত্র ভাই শুভদ্বীপ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হয়েও চাকরির জন্য হন্য হয়ে ঘুরেও চাকরি পাচ্ছিল না। এ কারণে শুভদ্বীপ হতাশায় ভুগছিল। ধারনা করা হচ্ছে সে কারণে শুভদ্বীপ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্বর্ণা কর্মকার আরও জানান, ১৬ মার্চ দিবাগত রাতে সবাই খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। রবিবার সকালে তার মা শুভদ্বীপের রুমের দরজায় আঘাত করলে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে শুভদ্বীপকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে ডাকচিৎকার শুরু করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বিপ্লব মিস্ত্রি বলেন, খবর পেয়ে শুভদ্বীপের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।