ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগীর ভীর বেড়েই চলছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক নারী পুরূষ ও শিশু চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর উপস্থিতি বেশী হওয়ায় জরূরী বিভাগ ও বহির্বিভাগ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তা কর্মচারীরা। কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারপরও তারা ঔষধসহ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গত ৪ দিন সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১০ টা বাজার আগেই হাসপাতালে আসতে থাকেন রোগী। তবে নারী ও শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশী। টিকিট কাউন্টারে বিশাল লাইন। চিকিৎসকদের কক্ষের সামনেও রোগীর জটলা। চিকিৎসকরা রোগী দেখছেন। অপরদিকে কাউন্টারে টিকিটের জন্য রোগীর লাইন ক্রমেই বড় হচ্ছে। সরকারি ঔষধ বিতরণের কাউন্টারের লাইনেও গিজাগিজি। সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে রোগীদের উপস্থিতিতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না হাসপাতাল চত্বরে। ওদিকে জরূরী বিভাগেও রোগী আসছে। ওই রোগীদের চিকিৎসাও চলছে। চিকিৎসা নিয়ে ৫ জন বেরিয়ে গেলে হাসপাতালে নতুন রোগী প্রবেশ করেন ১০ জন। ধর্মতীর্থ এলাকার হালিমা বেগম (৪৬) বলেন, আমার ও বাচ্চার দু’জনেরই কাশি। লাইনে দাঁড়িয়ে ২৫ মিনিট পর টিকিট পেয়েছি। ডাক্তার দেখে ঔষধ লিখে দিয়েছেন। দুটি ঔষধ হাসপাতাল থেকে ফ্রি পেয়েছি। আরো দুটি ঔষধ ফার্মেসী থেকে ক্রয় করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বহির্বিভাগে রোগীর চাপ উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে বয়স্ক লোক, নারী ও শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশী। অধিকাংশ রোগীই শর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, শরীর ব্যাথ্যা এমন সমস্যা নিয়ে আসছেন। মাঝেমধ্যে স্ট্রোক ও বুকে ব্যাথার রোগীও জরূরী বিভাগে আসে। আমরা সকল ধরণের রোগীদেরই সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সময় বেশী লাগলেও লাইনে যতক্ষণ রোগী থাকেন চিকিৎসকরা ততক্ষণ দেখেন।