বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজের গায়ে থাকা ‘ভারতীয় চাদর’ জনসম্মুখে ছুড়ে ফেলে দেশটির পণ্য বর্জনে চলমান ক্যাম্পেইনে সংহতি জানিয়েছেন । বুধবার (২০ মার্চ) নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে নিজের কাছে থাকা চাদরটিকে ভারতীয় পণ্য উল্লেখ করে তা ছুড়ে ফেলে দেন তিনি।
এরআগে বক্তব্যে তিনি বলেন,সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সরবত্রই এখন ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনে উত্তাল। ভারতীয় পণ্য বর্জন করে জনগণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দৃশ্যমান, তাতে মনে হয় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে।
জনগণের দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিসহ ৬৩টি গণতন্ত্রকামী দল এবং দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই আন্দোলনে’ সংহতি প্রকাশ করছে বলেও জানান রিজভী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবু কালাম আজাদ, মৎসযজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, বিএনপি নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম খান, রামপুরা থানা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নীলু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, হুমায়ুন কবির এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।
এর আগে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের ভোটের আশা করে না এবং বাংলাদেশের জনগণের ভোটের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস নেই। পার্শববর্তী দেশের সরকারের ক্ষমতার জোরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে। তারা ভারতের কাছে দস্তখত দিয়ে ক্ষমতায় থাকছে।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সরবত্রই এখন ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনে উত্তাল। ভারতীয় পণ্য বর্জন করে জনগণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজধানীতে মিছিল সমাবেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হচ্ছে। সচেতন মানুষ বলছেন, ভারতের পণ্য কিনলে তা বুলেট হয়ে জনগণের রক্ত ঝরাচ্ছে, আর এতে ঘা লেগেছে ওবায়দুল কাদেরদের।’
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে নয়, আওয়ামী লীগের পক্ষে। জনগণ তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করে। জনগণ ‘ভারত হটাও’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। নিরস্ত্র মানুষের একটাই ব্রত, এখন তারা কষ্টার্জিত পকেটের পয়সায় গণ-ধিকৃত আওয়ামী লীগ সরকারের মদতদাতা ও শক্তির উৎস ভারতের পণ্য কিনবে না।