নিখোঁজের দুইদিন পর ধান ক্ষেতের পাশ থেকে যুবক সাকিল বেপারীর (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মৃত্যুর কথা ছড়িয়ে পরলেও এনিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল গ্রামের। নিহত সাকিল ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী বেপারীর ছেলে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বোরো ধান ক্ষেতের পাশে যেখানে সাকিলের লাশ পরেছিলো তার পাশের একটি ধান গাছও বিনষ্ট হয়নি। সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, ইঁদুর মারার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মৃত্যু হলে বাঁচার জন্য সাকিল প্রাণপন চেষ্টা করতো। এতে যেখানে লাশ পরেছিলো তার পাশের ধান গাছ বিনষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু একটি ধান গাছের কিছু হয়নি। গ্রামবাসীর দাবি, পরিকল্পিতভাবে সাকিলকে হত্যা করে ধান ক্ষেতের পাশে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। যার সঠিক তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, নিহতের পিতা বাদী হয়ে একই গ্রামের সরোয়ার ফকির ও জব্বার আকনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদীর কৃষি জমিতে যাওয়ার জন্য বিবাদীদের জমির ওপর দিয়ে যেতে হয়। বিবাদীরা তাদের জমিতে কাউকে না জানিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। গত ১৮ মার্চ দিবাগত রাত দশটার দিকে নিজেদের কৃষি জমিতে ইঁদুর মারার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাকিল। এরপর আর তার কোন খোঁজ মেলেনি। ২০ মার্চ বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ধান ক্ষেতের পাশে লাশ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন। ওসি (তদন্ত) আরও বলেন, এলাকাবাসীর গুঞ্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। পাশাপাশি মামলার এজাহারভূক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।