বগুড়ার শেরপুরে আশ্রয় দেওয়ার নামে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ মামলায় আসামী স্বপন মিয়া (৩১) কে ২০ মার্চ বুধবার ভোর রাতে ময়মনসিংহ সদর থেকে আটক করেছে র্যাব-১২ বগুড়া। পরে তাকে বিকাল ৫টায় শেরপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর টাউন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, ২০ মার্চ বুধবার ভোররাতে স্বপন মিয়াকে বগুড়ার র্যাব-১২ ও র্যাব-১৪ এর সহযোগিতায় ময়মনসিংহ সদর থেকে তাকে আটক করে। ওই শিশুকে ধর্ষণ করার পর নিজেকে আত্মগোপন করতে স্বপন মিয়া সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সাত বছরের শিশুকে গত ১৫ মার্চ শুক্রবার দুপুরে স্বপন মিয়া ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত ১৬ মার্চ শনিবার সকালে শেরপুর থানায় শিশুর মা বাদি হয়ে স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই শিশু মেয়েকে গত ১৭ মার্চ রোববার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সোমবার (১৮ মার্চ) একই হাসপাতালে ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। পরে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সে সুস্থ হলে তারা বাড়ি ফিরে যায়। মামলা সূত্রে জানা যায়, এই শিশুর বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায়। শিশুর মা তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন শহরে প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। এই শিশু তার মায়ের সাথে থাকতো। গত ১৫ দিন আগে শেরপুর শহরে প্লাস্টিকের বোতল কুড়াতে আসে। শহরের ধুনটরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্বপন মিয়ার সাথে তাদের পরিচয় ঘটে। তখন স্বপন মিয়া তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়। গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে শিশুর মা স্থানীয় হোটেলে ভাত কিনতে গেলে স্বপন মিয়া সাত বছরে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। স্বপন মিয়ার এই খারাপ কাজ শিশু তার মাকে জানায়। এ সময় স্বপন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরদিন শনিবার শিশুর মা বাদি হয়ে শেরপুর থানায় স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। স্বপন মিয়াও স্থানীয়ভাবে ভাংরির ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। সে গাইবান্ধা জেলার সদর থানার টিনদহ গ্রামের মো. মুসা মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনাচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, বগুড়া র্যাব- ১২ ধর্ষক স্বপন মিয়াকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে বগুড়ার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।