বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামে মৃত্যু বীর মুক্তিযোদ্ধা চাচার স্বাক্ষর জালকরে চাচির বিরুদ্ধে তালাক নামা তৈরি। চাচি বাদি হয়ে দেবরের ছেলের বিরুদ্ধে বরিশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ১৯ মার্চ মঙ্গলবার একটি জাল জালিয়াতি মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তদিয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আস্কর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধার ফ্রান্সিস বিনয় হাজরার তার স্ত্রী মনিকা সরকারকে ২৪ জুন ২০২১ তারিখ শনিবার নোটারী পাবলিক ঢাকায় তালাকদিয়েছে। ওই তালাকের স্বাক্ষর বীর মুক্তিযোদ্ধার ফ্রান্সিস বিনয় হাজরার নয় দাবি করে তার স্ত্রী বরিশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ১৯ মার্চ মঙ্গলবার সমির হাজরার ছেলে সুব্রত হাজরা ও পুনরদান হাজরার ছেলে এ্যালেন হাজরাা নামে একটি জাল জালিয়াতি মামলা করেছেন। মামলা নং ৩৬। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই)কে তদন্তদিয়েছে বলে জানাগেছে। বাদী মামলায় উল্যেখে করেছে তার স্বামীর ছোট ভাই সমির হাজরার ছেলে সুব্রত হাজরা ও একই এলাকার এ্যালেন হাজরাা তার স্বামীর স্বাক্ষর জালকরে ওই ভুয়া তালাম নামা তৈরি করেছে। মনিকা সরকার জানায়, সুব্রত হাজরা তার চাচা ও আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষর জাল করে আমার নামে একটি ভুয়া তালাক নামা তৈরি করে সুব্রত হাজরা । ওই তালাক নামার স্বাক্ষরে সাথে আমার স্বামীর অন্যান্য কাগজপত্রের স্বাক্ষরের কোন মিল নাই। সুব্রত হাজরা আমার স্বামীর সম্পত্তি ও ঘর থেকে বের করারজন্য জালজালিয়াতির মাধ্যমে এই কাগজ বানিয়েছে। আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে বিভিন্নসময় হুমকি দিয়ে আসিতেছে আসামীরা। এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার ফ্রান্সিস বিনয় হাজরা একমাত্র কন্যা সন্তান এনজেলিনা তন্নী হাজরা সাংবাদিকদে জানান, আমার মা মনিকা সরকারকে আমার বাবা তালাকদেয় নাই। আমার চাচাত ভাই সুব্রত হাজরা আমার পিতার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া একটি তালাক নামা বানিয়েছে। আমার পিতার স্বাক্ষরের সাথে ওই স্বাক্ষরে কোন মিল নাই। মিলন হাজরা বলেন, আমার বড় ভাই ফ্রান্সিস বিনয় হাজরা আমার ভাবি মনিকা সরকারে তালাক দেয়নাই। আমার ভাবি তার স্বামীর ঘরে বসবাস করছেন। আমার মেজভাই সমির হাজরার ছেলে সুব্রত হাজরা, আমার ভাবির টাকা ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য এইকাজ করছে। স্থানীয় বাগধা ইউনিয় পরিষদ চেয়াম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি জানায়, আমার জানামতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নাই। ওই তারাক নামাটি জালজালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা। আগৈলঝাড়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধার আইয়ুব আলী মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধার লিয়কত আলী হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধার আবু তাহের মিয়া ও বীর মুক্তিযোদ্ধার মো. সিরাজুল হক সরদার বলেন, মুক্তিযোদ্ধার পরিবার নিয়ে এমন মিথ্যাচার করছে তাদের আমরার বিচার চাই। এবিষয়ে অভিযুক্ত সুব্রত হাজরা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য ওই তালাক নামা বানাই নাই। ওই তালাক নামার স্বাক্ষর আমার চাচার। তবে অন্যান্য কাগজ পত্রেরস্বাক্ষরের সাথে তারাক নামার স্বাক্ষওে মিল নাই।