লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ডাকাতের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন গ্রাম পুলিশ মো. নোমান। বুধবার রাতে উপজেলা বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম দ্বীপ চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নের চর গজারিয়ার তেলির চরের চেয়ারম্যান বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নোমান ওই ইউনিয়নের ৬ ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত আছেন। হামলার শিকার নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাতেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হামলাকারী ডাকাতরা হচ্ছে, চর গজারিয়ার বহুল আলোচিত খোকন বাহিনীর প্রধান খোকন আল আমিন ওরফে খোকন ডাকাত ও তার সহযোগী ডাকাত শেখ ফরিদ, মতিন, ফয়সাল এবং সিরাজ। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন মঞ্জুর জানান, চিহ্নিত খোকন ডাকাত দীর্ঘ দিন ধরে চরগজারিয়া তেলিরচর সহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি নৌ-ডাকাতি, খুন, নারী ধর্ষনসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল, ঘটনার দিন চর এলাকায় জমি ক্রয়-বিক্রয়কারীদের কাছে চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে নোমান চৌকিদার চাঁদা দিতে নিষেধ করেছেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নোমানের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারধর করে মুমূর্ষূ অবস্থায় ফেলে যায়। এসময় কয়েকশ মানুষ দুরে দাড়িয়ে দেখলেও কারো সাহস ছিলনা তাদের প্রতিহত করার। চেয়ারম্যান আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে নানা ধরনে মামলা রয়েছে, তাঁর অত্যাচারে চর এলাকার মানুষ সবসময় আতংকে থাকতে হয়। চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুলকে কুপিয়ে আহত এবং ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আইউব নবীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার এসব কর্মকান্ডে ডিবি পুলিশ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর আবার র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৭টি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করে। রামগতি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনা শুনেছি এখনো কারো পক্ষ হতে লিখত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খোকন ডাকাতের বিরুদ্ধে রামগতি, হাতিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।