এই সরকারের অধীন সকল নির্বাচন থেকে যখন বিএনপি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা। তখন এবারের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান মার্কনী। তিনি রাজশাহী জেলা বিএনপির যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের রাজনীতির পদধারী নেতা ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি প্রকাশ্যে রাজনীতির মাঠে সরব না থাকলেও এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাঠে সরব থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। তার বাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের আলোকছত্রর চকতাঁতীহাটি গ্রামে। তার পিতার নাম মাহর উদ্দীন খান। মাতা পিয়ারা বেগম। জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান এই প্রতিবেদককে বলেন, মনে করেছিলাম কোন নির্বাচন করবো না। বারবার নির্বাচনের মাঠ থেকে বিএনপি সরে থাকায় বিএনপির তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা চাচ্ছেন বিএনপি ভোটের মাঠে থাকুক তাহলে অন্তত সাধারণ বিএনপির কর্মীরা স্বস্থি পাবে ও উজ্জীবিত থাকবে। বিএনপি ঘরে ঢুকে থাকায় তারা হতাশ প্রকাশ করছেন। মূলত এসব কর্মীদের চাওয়া থেকেই এবারের উপজেলা ভোটে প্রার্থী হয়ে ভোটে অংশ গ্রহণ করতে চাই। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে আর ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেওয়া যাবে না। নির্বাচনে হার জিতে থাকবেই সেটা বড় বিষয় নয়, আমার মূল উদ্দেশ্যে বিএনপি কর্মীদের পাশে থেকে তাদের মনোবল বাড়ানো। কেন্দ্রীয় বিএনপি বা জেলা বিএনপির নেতারা কে কি ভাবলো সেটা দেখলে হবে না। আমরা এই রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছি। এভাবে নির্বাচন থেকে সরে থাকলে নেতাকর্মীরা হারিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে বিএনপির সাধারণ কর্মী ও সমর্থকদের ভোটের মাঠে নামার কথা জানান দিয়েছে বলে জানান বিএনপির এই নেতা। এদিকে আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে গোদাগাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় ভাবে কোন প্রার্থী না দেওয়ায় মূলত একাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠ গরম কররছেন। তবে স্থানীয় এমপি বর্তমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পড়েছেন দ্বিধা দ্ব¦ন্দ্বে। বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়াম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ছাড়াও গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহকারী প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও অবসর প্রাপ্ত কাস্টমস গোয়েন্দার সহকারি পরিচালক সুনন্দন দাস রতন, দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল উদ্দীন ভোটের মাঠে জোড়েসোরে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।