রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার আড়কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রধান শিক্ষক বালিয়াকান্দি থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। প্রধান শিক্ষকের নাম পলাশ কুমার দে (৫৮)। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল কলেজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম যতিন্দ্রনাথ দে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোস্তফা কামাল (৩৯)। তিনি বহরপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের বাসিন্দা। মোস্তফা কামালের বাবার নাম মহিউদ্দিন মোল্লা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। ২০ দিন আগে মোস্তফা কামাল বিদ্যালয়ের পুরোনো ঘরের ৪টি লোহার জানালা যার অনুমান ওজন ৮০ কেজি ও দুটো পুরোনো বৈদ্যুতিক মোটর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে যায়। পরবতীতে তিনি (প্রধান শিক্ষক) ঘটনা জানতে পেওে মোস্তফা কামালকে জানালা ও মোটর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চান। সহকারী শিক্ষক এবিষয়ে কোন কোন সদুত্তর না দিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয় এবং গালাগাল করে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে জানালো হলে মোস্তফা কামাল ৪টি জানালার মধ্যে কাটা অবস্থায় আংশিক জানালা ফেরত দেয়। এতে মোস্তফা কামাল প্রধান শিক্ষকের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনার পর ২১ মার্চ দেড়টায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অলোক কুমার ঘোষ, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার দাস, আবদুল কাদের মোল্লা, সহকারী শিক্ষক আবদুল কাদের ভূইয়া, বিলকিস খাতুন, সঞ্জয় বিশ্বাসসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সামনে তাকে গালাগাল ও জীবননাশের হুমকি দেয়। এঘটনা বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় রক্ষিত রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এধরনের কোন ঘটনা ঘটে নাই। হুমকি দেওয়ার অভিযোগও সঠিক না। সহকারী প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার দাস বলেন, শিক্ষকদের সামেন মোস্তফা কামাল আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদর্শণ করেন, এছাড়া প্রধান শিক্ষককেও সবার সামনে হুমকি প্রদর্শন করেন। ভিডিও ফুটেজ তো আছে। বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, দুপুর ২টার দিকে এবিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।