বগুড়ার শেরপুরের চৌবাড়িয়া সিএনবিপাড়া এলাকায় শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের পাশে সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে বাঙালী নদী খনন করার নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকীর মুখে পড়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি। শুধু তাই নয় হুমকীর মুখে রয়েছে আঞ্চলিক সড়কটিও। এরই প্রতিবাদে ২৫ মার্চ সোমবার সকালে প্রভাবশালীদের শাস্তি ও খুব দ্রুত ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামের কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে আমাদের সিএনবি এলাকায় নদী খননের নামে মানুষের রেকর্ডকৃত জমি কেটে নিয়ে গেছে। ওই সময় তাদের বাধা দিলে তারা আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে। নদীর উত্তর পাশে নদীর চর থাকা স্বত্ত্বেও তারা জোর পূর্বক আমাদের জমি কেটে নিয়েছে। এই ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এমতাবস্থায় আগামী বর্ষার মৌসুমে আমাদের প্রায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, আমাদের বসতবাড়ি বিলীন হলে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কটি হুমকীর মুখে পড়বে। তাই খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সিসি ব্লক দিয়ে ভাঙ্গন রোধ ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. চান বাদশা মন্ডল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. রওশন আলী, এলাকাবাসী মো. আলেক উদ্দিন মহুরী, আব্দুল করিম, মো. মুকুল, আনশব আলী, রওশনআরা প্রমূখ। এ ব্যাপারে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ত্বত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, রাস্তা সংলগ্ন নদী খননের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনীরা নদী খননের কাজ করছে এটা ঠিক তবে কারো রেকর্ডকৃত জমি কাটার এখতিয়ার তাদের নেই। যাদের ক্ষতি হয়েছে তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদ্বয়ের কাছ থেকে একটি ডিও লেটার নিয়ে আসলে খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সংস্কারের চেষ্টা করা হেব।