সাতক্ষীরা শহরের অধিকাংশ বিপণিবিতানে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের পোশাকের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারিতেই পোশাকের দাম বেড়েছে ৩০-৩৫ শতাংশ। গতকাল শহরের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। সুলতানপুর বড় বাজার সড়কের রাজধানী শপিং সেন্টারে ঈদের পোশাক কিনতে এসেছেন কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর নলতা গ্রামের কলেজছাত্রী রেশমা খাতুন। তিনি জানান, ২ হাজার ৮০০ টাকা দামে একটি জর্জেট থ্রি-পিস কিনেছেন। গত রমজানে একই ধরনের থ্রি-পিস কিনেছিলেন ১ হাজার ৭০০ টাকায়। রাজধানী শপিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী হাজী তরিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বাবুগঞ্জসহ অন্যান্য পাইকারি মার্কেটে শাড়ি, থ্রি-পিস ও ছেলেদের সব ধরনের পোশাকের দাম বেড়েছে। প্রকার ভেদে প্রতিটি পোশাকে গত বছরের তুলনায় ৩০-৩৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা মার্কেটগুলোয়। শহরের পাউয়ার হাউজ সড়কের বসুন্ধরা মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন বৈকারী গ্রামের গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম। নিজের ও ছেলেমেয়ের জন্য ঈদের জামাকাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি মার্কেটে ঘুরেছেন। কিন্তু অধিকাংশ তৈরি পোশাক ও শাড়ির দাম নাগালের বাইরে। পরে ছয় বছরের ছেলের জন্য ১ হাজার ৪০০ টাকার দিয়ে শার্ট ও প্যান্ট কিনেছেন। আর ছোট মেয়ের জন্য ৯০০ টাকা দিয়ে একটি থ্রি-পিস কিনেছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই দামটা অনেক বেশি বলে মনে করেন মনোয়ারা বেগম। ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবার ঈদের কেনাবেচা খুবই ভালো যাচ্ছে। ক্রেতারা ভিড় ও ঝামেলা এড়াতে এবার রমজানের শুরু থেকেই ঈদের কেনাকাটা করছেন। এদিকে শহরের জুতার দোকানগুলোয়ও উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। বাটা, লটো, লিবার্টি ও সম্রাটসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা কিনতে বিপণিবিতানগুলোয় ভিড় করছেন ক্রেতারা। শহরের পাকা পুলের সামনে নিউ সু-তে আসা ক্রেতা ইলিয়াস হোসেন জানান, দেশে চামড়ার দাম কম। অথচ জুতার দাম কমে না। ঈদ উপলক্ষে চামড়ার স্যান্ডেলসহ সব ধরনের জুতার দাম বেশি। প্রকার ভেদে স্যান্ডেল ৯০০-১ হাজার ৫০০ টাকা এবং সু এক হাজার ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।