মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে স্বামী, স্ত্রী এবং ৩ সন্তান সহ একই পরিবারের ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এক শিশু আহত হয়েছে। ঘনাটি ঘটে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সেহরির পরে ৪টা ৫০ মিনিটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি এলাকায় দিনমজুর ফয়জুর রহমান পরিরিবারের ৬ সদস্যসহ একটি টিনের ঘরে বসবাস করতেন। ওই ঘরের উপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩৩ হাজার কেবি পল্লী বিদ্যুতের লাইন পাড়ি দেয়। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে ঘরের চালে পরলে আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, ষোল বছরের বড় মেয়ে সামিয়া, তের বছরের মেঝ মেয়ে সাবিনা ও আট বছরের ছেলে সায়েম আগুনে পুড়ে ঘরের ভেতর মৃত্যু হয়। এঘটনায় ছয় বছরের মেয়ে সোনিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রেনে আনে ও ৫ জনের লাশ উদ্ধার এবং ছয় বছরের এক শিশুকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনার পর জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশিকান্ত হাজং ও পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার বলেন,এটি একটি মর্মান্তিক ঘটন। আমার মনে হয় একই পরিবারের এক সাথে ৫ জনের মৃত্যু মৌলভীবাজার জেলায় একটি বড় ঘটনা। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। থানা পুলিশ ও বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক সভা করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের একটি কন্যা সন্তান বেঁচে আছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মেয়েটিকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং লাশ দাফন কাপনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। আসরের নামজের পর স্থানীয় ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।