কৃৃষকের আস্থা বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা কৃষক সেবা কেন্দ্র, ঘরেই বসেই এখন কৃষকরা পাচ্ছেন কৃষি সেবা। প্রায় পাঁচবছর আগে এই সেবাকেন্দ্রর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। সেই থেকে এই অঞ্চলের কৃষকরা ঘরে বসেই কৃষিসেবা পাচ্ছেন। জানা গেছে, নন্দীগ্রাম থেকে পন্ডিতপুকুর যাওয়ার সময় চোখে পড়ে আঞ্চলিক সড়কের পাশেই ভাটরা গ্রামে অবস্থিত তিনতলা ভবন বিশিষ্ট এই সেবাকেন্দ্রটি। কেন্দ্রটিতে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ নিতে আশা বেশকিছু কৃষকদের উপস্থিতি দেখা যায়। আর সেইসব কৃষকদের কৃষি বিষয়ক সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান করছেন ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হক। এই সেবাকেন্দ্রটি ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্মিত হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকেরা কৃষিভিত্তিক সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন। কৃষকদের প্রশিক্ষণের জন্য সেখানে একটি ট্রেনিং সেন্টারও খোলা হয়েছে। এই ট্রেনিং সেন্টারে কৃষকদের ফ্রি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিশেষ করে ফসলি জমিতে পোকামাকড় আক্রমণ করলে এই কেন্দ্র থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হোসেনসহ তার সহকারীরা সরেজমিনে গিয়ে বিনা খরচে সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন। মাটির উর্বরতা বা মাটির মান নিয়ে কোনো সমস্যা হলে পরীক্ষামূলকভাবে তার সঠিক সমাধান করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভাটরা ইউনিয়নের নাজমুল হক, সুমাইয়া ইয়াসমিন, মোস্তারিন নুসরাত এই তিন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেবা দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক অফিসে থাকেন। এক কথায় এই কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের কারণে কৃষকেরা মাঠে বসেই সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন। কৃষক রুবেল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে এই কৃষক সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করার ফলে আমাদের কষ্ট করে উপজেলা পর্যায়ে দৌড়াতে হয়না। আমরা খুব সহজেই ইউনিয়ন কৃষি সেবা কেন্দ্র থেকেই সকল ধরনের সেবা পাচ্ছি। এলাকার হাজার হাজার কৃষক আমরা ঘরে বসেই কৃষিসেবা পাচ্ছে। ভাটরা ইউনিয়ন ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, আমার ভাটরা ইউনিয়নে কৃষি সেবা কেন্দ্র থাকাই খুব সহজেই কৃষকরা কৃষি সেবা পাচ্ছে কৃষি বিষয়ক যে কোন পরামর্শ নিতে তাদের উপজেলা পর্যায়ে যেতে হচ্ছেনা। কৃষি সেবা কেন্দ্র থেকেই তাদের সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গাজিউল হক বলেন, উপজেলার কৃষকদের সব ধরনের কৃষিমূলক সেবা গবেষণাকেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সেখানে একটি ট্রেনিং সেন্টার খোলা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র থাকার ফলে খুব সহজেই কৃষি সেবা পাচ্ছেন কৃষকরা।