আমেরিকায় ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভনে ভারতে নিয়ে স্ত্রীকে দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন স্বামী। বরিশাল মানবপাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের পর বিচারক মোঃ মঞ্জুরুল হোসেন অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতয়ালি মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানিয়েছেন, সোমবার শেষ কার্যদিবসে নগরীর রূপাতলীস্থ মোল্লা সড়ক এলাকার বাসিন্দা মিলন আকন বাদি হয়ে দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন, নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাঢ়ী বাড়ির মোতালেব হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন খোকন ও তার ভাই মোঃ রোকন। মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, বাদি মিলন আকনের অজান্তে তার স্ত্রী ও কিশোর ছেলেকে আসামিরা আমেরিকায় নিয়ে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেয়। এতে তার (মিলন) স্ত্রী ও ছেলে রাজি হয়। বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, গত ২৩ মার্চ তিনি জরুরি কাজে ঢাকায় যান। এরপর তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বন্ধ পান। পরে প্রতিবেশীদের খবর নিতে বাদী তার বাসায় পাঠান। প্রতিবেশীরা বাসায় গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে জানানোর পর বাদী ঢাকা থেকে বরিশালে ফিরে আসেন। এরপর তিনি দেখতে পান ঘরে থাকা সাতভরি স্বর্ণালংকার, কাপড় ও নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকাসহ স্ত্রী ও সন্তান নেই। এরইমধ্যে গত ২৬ মার্চ মামলার বাদী মিলন আকনের ১৬ বছর বয়সের সন্তান ফিরে এসে জানায়, আলমগীর হোসেন খোকন ও তার ভাই রোকন আমেরিকায় নেওয়ার কথা বলে তাদেরকে বেনাপোল দিয়ে কলকাতায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি হোটেলে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে তাদের আটকে রাখা হয়। পরে তার মাকে পতিতাবৃত্তি করতে মারধর করা হয়। এসময় মামলার বাদির ছেলে প্রতিবাদ করলে তার হাত ও পা ভেঙে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানোর হুমকি দেওয়া হয়। এরপর কৌশলে সে (বাদির ছেলে) পালিয়ে দেশে ফিরে আসে। বর্তমানে বাদির স্ত্রী ভারতের অজ্ঞাতস্থানে রয়েছে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।