গাজীপুরের কালীগঞ্জে মাদকাসক্ত পুত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে পিতাকে আটক করেছে পুলিশ। ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পিতা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত কাউসার বাগমার (২৫) জামালপুর এলাকার রশিদ বাগমারের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউসার বাগমার প্রায় বছর খানেক আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে। এরপর থেকেই সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময় মাদককের টাকার জন্য বাড়ীতে ভাংচুর ও বাবা-মাকে অত্যাচার ও নির্যাতন করতো। এতে অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় কাউসারকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার বাবা রশিদ বাগমারা। রশিদ বাগমারের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। এরমধ্যে কাউসার ছোট ছেলে। বড় ছেলে সিঙ্গাপুর ফেরত। নিহতের ভাই আশরাফুল জানান, আমার ভাই কাউসার সারারাত বাড়ির বাইরে থাকতো ও মাদক সেবন করতো। প্রায়ই মাদকের জন্য মায়ের কাছে টাকা চাইত। টাকা না দিলে মারধর ও বাড়ীতে ভাংচুর করতো। গত রাতও সে বাড়ীতে আসেনি। বাহিরেই ছিলো। সকালে বাড়িতে এসে মাকে মাদকের টাকার জন্য গালি গালাজ ও মেরে বাড়ী থেকে বেড় করে দেয়। কিছুক্ষণ পর রাগের বশে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে কাউসারকে হত্যা করে। কাউসারের মা মোসলেমা বেগম জানান, আমার ছেলে কাউসার মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। সে প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য বাড়ীতে ঝগড়া বিবাদ ও ভাংচুর করতো। নেশার টাকার জন্য সকালে তার বাবাকে দুই গন্ডা জমি বিক্রি করতে বলে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। তারপর তার বাবা ঘটনা জানতে পেরে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি এজহার দায়ের করেছি। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্ত রশিদ বাগমারকে আটক করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কুড়াল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন।