বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন বরিশালে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। আর বর্ষবরণের সবচেয়ে বৃহৎ জমায়েত হতে যাচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে।
নগরীর ব্রজমোহন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে পহেলা বৈশাখে (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে। যা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অশ্বিনী কুমার টাউন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হবে। চারুকলা বরিশালের সভাপতি দীপংকর চক্রবর্তী বলেন, এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন ৩৩তম। এবার কবি জীবনানন্দের কবিতা থেকে শ্লোগান নেওয়া হয়েছে “আমরা তো তিমির বিনাশী”।
সূত্রমতে, মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর পূর্বে সকাল সাতটায় ব্রজমোহন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোগে সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে প্রভাতী অনুষ্ঠান শুরু হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রার আগে উদীচীর মঞ্চে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ও রাখি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া শোভযাত্রা শেষে চারুকলার আয়োজনে বরিশাল সিটি কলেজ প্রাঙ্গণের চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি লোকজ সংস্কৃতির প্রদর্শন করা হবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে চারুকলার শিল্পী ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের মুকুট, মুখোশ, পাখা, পালকি, ঘোড়া, নৌকাসহ বিভিন্ন লোকজ উপকরণ তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এবার ঈদের পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা হওয়ায় বিগত দিনগুলোর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লোকসমাগম হবে বলে জানিয়েছেন মঙ্গল শোভাযাত্রা ১৪৩১ এর আহবায়ক দুর্জয় সিংহ। একই কথা জানিয়ে উদীচী বরিশালের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু কুমার বিশ্বাস বলেন, পহেলা বৈশাখের সকল আয়োজনে প্রচুর লোকসমাগম হবে। আর এ চিন্তাভাবনা থেকেই প্রতিটি আয়োজন সাজানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উদীচীর আয়োজনে ব্রজমোহন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পহেলা বৈশাখ থেকে তিন দিনের লোকমেলার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা বর্ষষবরণ উপলক্ষে শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটার শহীদ মিনারে তিন দিনের বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘোষণা করেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জিহাদুল কবির জানান, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও মেলা ঘিরে মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। আমরা ঈদের প্রস্তুতির সাথে বর্ষষবরণকে ঘিরেও প্রস্তুতি নিয়েছি।