ভারত ও রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের সবগুলো সীমান্ত এখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একটা দেশের সীমান্ত এতো অরক্ষিত, অথচ তা ডামি সরকার জনগণকে জানতে দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বান্দরবানের কুকি চিনের হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যে বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে তা উদ্বেগজনক। কুকি চিনের আস্তানা র্যাব ও সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে, তারা পার্শ¦বর্তী কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু এসবের কোনো ভিত্তি নেই। দেশের মানুষ বুঝে গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ না, সীমান্ত নিরাপদ না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বলেছেন, তিনি আগে থেকেই জানেন কুকি চিনের বিষয়ে। তাহলে আজকের পরিস্থিতির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার কুকি চিনকে ব্যবহার করে নিজেদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সারবোভৌমত্ব হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কুকি চিনের হামলা ও বারবার গুলির ঘটনা স্পষ্ট প্রমাণিত যে, গোয়েন্দাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বান্দরবানে হামলার ঘটনা সরকারের তাবেদারি পররাষ্ট্রনীতির কুফল ছাড়া কিছুই নয়। এটাকে সাধারণ বা হালকাভাবে নিলে ভবিষ্যতে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।
রিজভী বলেন, কুকি চিনের তৎপরতা বন্ধ করতে হলে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। না হলে প্রকৃত ঘটনা কখনই জানা যাবে না।