ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আউস প্রণোদণার আওতায় উপজেলার ১৫’শ কৃষকের মাঝে জমাট বাঁধা ও নষ্ট ডিএপি সার বিতরণ করা হয়েছে। জমাট বাঁধা এই সার নিয়ে কৃষি অফিসে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করেন কৃষকরা। এ নিয়ে কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। রবিবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপসী প্রণোদণার আওতায় আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে উপজেলা ১৫শ কৃষকের মাঝে ধানের ৫ কেজি করে বীজ, ৩০০ বস্তা এমওপি ও ৩০০ বস্তা ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। বিতরণ করা ডি.এ.পি সারের প্রায় সবগুলো বস্তা জমাট বাঁধা। এ সার জমিতে প্রয়োগ করলে আশানুরূপ ফসল আসবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি প্রণোদণায় আমাদের প্রতি কৃষককে ৫ কেজি ধানের বীজ, ১০ কেজি এম.ও.পি ও ১০ কেজি ডি.এম.পি সার বিতরণ করছে। এর মধ্যে ১০ কেজি ডি.এম.পি সার বড় বড় জমাট বাধা অবস্থায় ও অনেকাংশ গলিত অবস্থায় আমদের দিচ্ছে। এই সার আমরা জমিতে ব্যবহার করলে তেমন ফল পাইনা। ফসলের ক্ষতি করে এই সার। তাছাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ছাড়া এই সার বাইরেও কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো ভাল অবস্থায় পাওয়া যায়। কৃষকদের অভিযোগ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা যোগসাজস করে ভাল সার বাইরে বিক্রি করে জমাট বাধা সার কৃষকদের নিতে বাধ্য করা হয়। হাফিজুর রহমান নামে এক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, জমাট বাধা এই সার নেয়ার জন্য কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চাপ দেয়া হয়। আমরা এই সার নিতে আগ্রহী না থাকার পরেও জোর করে এই সার আমাদের দিয়েছে। তাদের কাছে অভিযোগ করা হলে তারা এই সার না নিলে চলে যেতে বলেন। সরকার ভাল দামে সার কিনলেও আমাদের বরাদ্দ দেয়া হয় জমাট বাধাঁ ও নষ্ট সার। এই সার জমিতে দিলে ফসলের ক্ষতি হয়। আব্দুল গফুর নামে এক কৃষক বলেন, আমার দেয়া এই সার নষ্ট হলেও বাইরে যারা এই সার বিক্রি করে তাদের কাছে ভাল সার পাওয়া যায়। তাহলে সরকার আমাদের জমাট বাধা ও নষ্ট সার কেন দিচ্ছে। আমরা ভাল সার চাই। উপজেলা কৃষি অফিসার হাসিব আব্দুল্লাহ জানান, বিএডিসির গোডাউন থেকেই আমাদের এই সার বরাদ্দ দেয়া হয়। আমরা নিজের মত পছন্দ করে আনতে পারি না। আর সার জমাট বাঁধলেও তার গুণগতমান খুব একটা কমে না। কৃষকের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। আমরা উর্ধ্বতণ মহলে জানিয়েছি। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাব বলেন, আমরা জানতে পেরে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষটি দ্রুতই সমাধান করা হবে।