বরিশালে আগৈলঝাড়া উপজেলান বাগধা বাজারে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসিকে মসজিদের মাইকে ঘোষনাদিয়ে দুটি স্প্রিট বোডসহ বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.এনায়েত হোসেনসহ ১৮ জনকে ডাকাত সন্দেহে স্থানীয়রা আটক করে। স্থানীয়রা আগৈলঝাড়া থানা পুলিশকে সংবাদদিলে পুলিশগিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে উজিরপুর উপজেলার সাতলা থেকে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা বাজারের দুইটি স্প্রিট বোডে ১৮ জনের একটি দল বাগধা বাজারে আসে। স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে স্থানীয়রা বাগধা বাজারে চারদিক ঘিরেফেলে এরপরে দুটি স্প্রিট বোটে থাকা ১৮ জনকে আটক করে। স্থানীয়রা প্রথমে তাদের নাম ঠিকানা ও পরিচয় জানতে চাওয়া হলে, তারা জানান ডিবির সদস্য, তাদের গায়ে কোন ইউনিফ্রর্ম না থাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। এরপরে স্থানীয়রা তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে পারে নাই। এরপরে তাদের বাগধা বাজরের একটি দোকানে আটকরেখে স্থানীয় বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্রি ও আগৈলঝাড়া থানা পুলিশকে জানালে। তাৎক্ষনিক আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্দ লোকজন সামাল দিতে পুলিশ লাঠিলার্জ করে পরিস্থিতি নিয়স্ত্রনে আনে। তারপরে আটককৃতদেরকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।
এব্যাপারে বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্রি জানান, এলাকায় গরুচুরি হিরিক পরেছে। আবার গতকাল শনিবার পয়সাবন্ধরে সাপ্তাাহিক হাটবার ছিলো। এছাড়াও সম্প্রতি হারতা বাজারে ফ্লিমইষ্টাইলে রাতে ডাকাতি হয়েছিলো। সবকিছু মিলে সাধারণ মানুষের মাঝে ডাকাত আঙ্ক ছিলো। আবার আটককৃত ১৮ জন তারে কোন পরিচয় পত্র দেখাতে পারে নাই, এত সন্দেহ আরো রেড়ে যায়।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আলম চাঁদ বলেন, আমি আটককৃতদেরকে থানায়বসে জ্ঞিগাসাবাদ করারপরে তাদের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন, উপ-পরিদর্শক ইশতিয়াক, মু.আ.মজিদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেনসহ ১৮ জন। এরা একটি দল মাদকের অভিযানে আগৈলঝাড়ার বাগধা বাজারে আসেন। আমি তারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তাদের নাম পরিচয় নিচ্ছিতকরার পরে তাদের মুছলেকানিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাঁজা উদ্ধারে ১৮ জন সদস্যের একটি টিম আগৈলঝাড়ার বাগধা বাজারে আসি। আমরা জনতার রোসানলে পরে যাই। থানা পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে আমাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আগৈলঝাড়া থানা ওসি আমাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে আমাদের ছেড়ে দেয়ন।