দোয়া ও ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির দুটি গ্রুপে বিভক্তি হয়ে পৃথকভাবে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে। দুই পক্ষের নেতাকর্মী ও তাদেঁর অনুসারীরা পৃথকভাবে এসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে। আজ রবিবার বিকালে স্থানীয় চকদার বাড়ি প্রাঙ্গণে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট মো: আবদুল মান্নান। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজ্বী সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ও সাবেক ভিপি আবু শামিম মোহাম্মদ আরিফ,বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান শাহিন,জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলামসহ জেলার দলীয় নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বসির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে বিএনপির অপর অংশ স্থানীয় পিটিএ মার্কেটস্থ ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট একেএম কামারুজ্জামান মামুন। দুই গ্রুপের ইফতার মাহফিলেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বসির উদ্দিন তুহিন জানান, গত জাতীয় সংসদ নিবার্চনে (স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে) কলার মার্কার নির্বাচন করা নেতাকর্মী ও দলের বহিস্কৃতদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে সভা ত্যাগ করে পৃথক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছি।
বিভক্তির বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান জানান, সবাই মিলের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছি। ব্যানারে জনৈক বিএনপির নেতার নাম দেয়ায় তারা (সাধারণ সম্পাদক বসির উদ্দিনের পক্ষ) ইফতার মাহফিলে আসেন নাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম জানান বিষয়টি আমরা দেখছি বলে তিনি এড়িয়ে যান।