মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী শায়লা রহমান সেতুর মৃত্যুর প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ও ভুক্তভোগী পরিবার এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সহ-সভাপতি মিয়া ওয়াহিদ কামাল বাবলু, সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবতী, নিহত সেতুর পিতা জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনতী রাণী দত্ত, শ্রীপুর যুবজোটের সভাপতি দীলিপ বিশ্বাস, জাসদ কর্মী সমাপ্তী বিশ্বাস, সাংবাদিক এম এ হাকিম, মাজহারুল হক লিপু ও শামীম শরীফ প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৪ এপ্রিল মাগুরা শহরের লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে ডাক্তার জাফরিন আকতারের চরম অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি সেতুর মৃত্যু হয়েছে। অবিলম্বে এ কসাই ডাক্তারের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানানো হয়। মানববন্ধনে ৩ শতাধিক নারী-পুরুষসহ সুধীজন অংশ নেয়। উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল শহরের লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি হন এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ফিরোজের কন্যা শায়লা রহমান সেতু। তাকে সিজারিয়ানের জন্য ডাক্তার জাফরিন আকতার চিকিৎসা শুরু করেন। এ সময় প্রসুতির তীব্র রক্ত ক্ষরণ শুরু হলে রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যায়। পরে ঐদিন রাতে রোগীকে ঢাকার পপুলার হসপিটালে প্রেরণ করা। পরের দিন ৫ এপ্রিল প্রসুতির মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে সেতুর বাবা এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন,আমার মেয়েকে ভুল চিকিৎসা প্রদান করে ডাক্তার জাফরিন আকতার মেরে ফেলেছে। মাগুরা লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে তার সিজারিয়ানের সময় প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। পরে ঢাকায় তার মৃত্যু হয়। ঢাকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,তাকে ভুল চিকিসা দেওয়া হয়েছে ফলে তার শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দিলে তার মৃত্যু হয়। আমি সুবিচারের আশায় নিজে বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল মাগুরা জজকোটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪ জনের নামে মামলা করেছি।