আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লাগাতারভাবে ভুল নীতি ও ভুল কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে নিমজ্জিত। এখান থেকে উত্তরণের জন্য তাদের স্বভাবজাত পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তারা আরও গভীরে পড়ে যায়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বিএনপিকে 'এদেশের গণতন্ত্রের শত্রু ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী দল' হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ভুল রাজনীতির কারণে তাদের নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্ত। ব্যর্থ বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগণের মাঝে হতাশার বীজ বপনের অপচেষ্টা করছে।'
বিএনপির সামনে কোনো স্বপ্ন নেই দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তাই বিএনপির নেতারা ইতিবাচক কোনো কিছু দেখতে পায় না। বরং নেতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে দেশ ও জনগণের ক্ষতি সাধনে সর্বদা ষড়যনেত্র লিপ্ত থাকে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপির নীতি, আদর্শ ও কর্মপন্থা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। রাজনীতির মঞ্চে বিএনপির অবস্থান গণতনেত্রর বিপরীত মেরুতে। সামরিক স্বরৈাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি গায়ে গণতনেত্রর আলখেল্লা জড়ালেও ভেতরে অগণতান্ত্রিক প্রেতাত্মাকে ধারণ করে। তাই সাংবিধানিক ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।'
সেতুমন্ত্রী বলেন, 'অগণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিভূ বিএনপি সরবদাই গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যনেত্র লিপ্ত। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি তাদের মজ্জাগত সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে আড়াল করার অপচেষ্টা করে। কিন্তু তাদের স্বরূপ আজ জাতির কাছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত। কানাডার ফেডারেল আদালত কর্তৃক বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ দেশের স্বাধীনতা, সারবভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সকল প্রতিক্লতা ডিঙিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আগামীর বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ স্মার্ট বাংলাদেশ।'