পাবনা সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর আত্মসমর্পনকৃত সর্বহারা নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ৩টি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের মো. বক্কর প্রামাণিকের ছেলে মো. ওহিদুল্লাহ (৪৫), পাবনা পৌর এলাকার পশ্চিম সাধুপাড়ার মহসিন রেজার ছেলে মো. আকাশ (৩০), একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শোভন ওরফে শুভ ওরফে ভালা (২৮), চর সাধুপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম প্রামানিকের ছেলে আবদুল হান্নান (৪৮) এবং চর শিবরামপুর এলাকার কালু বিশ্বাসের ছেলে আবদুর রহমান (৩৫)। পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদ এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিএমপির গুলশান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামি মো. ওহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকাশ এবং শোভনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবদুল হান্নানকে ২টি অস্ত্র এবং আবদুর রহমানকে ১টি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, ওহিদুল্লাহ এবং আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আবদুর রাজ্জাক গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। পরবর্তীতে বাড়ি-ঘর ভাংচুর, মারামারি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম শক্রতা শুরু হলে ওহিদুল্লাহ নিজ এলাকা ছেড়ে শহরের সাধুপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করে। এরই জেরে ওহিদুল্লাহের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আবদুর রাজ্জাককে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। ঘটনার দিন গত ১৭ মার্চ আসামি ওহিদুল্লাহ স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তার অপর দুই সহযোগীদের নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সাধুপাড়া থেকে মানিকনগর বাজারে যায় এবং সুযোগ বুঝে বিল্টুর দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় উপর্যূপুরি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।