ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে আয়ারল্যান্ড। স্পেন এবং অন্যান্য সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে মিলে আয়ারল্যান্ড এই পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী বলে গত শুক্রবার স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানান নতুন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস।
ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে দীর্ঘদিন থেকেই সমর্থন দিয়ে আসা স্পেন এবং আয়ারল্যান্ড গতমাসে মাল্টা এবং স্লোভেনিয়ার সঙ্গে মিলে ঘোষণা দিয়ে বলেছিল, তারা একসঙ্গে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কাজ করবে।
গাজায় হামাসকে নির্মূল করতে ইসরায়েলের চলমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বজুড়ে ডাক ওঠার প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার এই চেষ্টা শুরু হয়েছে।
আয়ারল্যান্ডে সিমন হ্যারিস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শুক্রবার ডাবলিন সফরে যান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তার সঙ্গে বৈঠকের পর হ্যারিস বলেন, “আজ সন্ধ্যায় বলছি, আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে এই যে, এ পর্যায়টি (ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি) অনেক কাছে চলে আসছে। আমরা একসঙ্গেই এ লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই।
“আমরা যখন সামনে এগুব, তখন এ প্রক্রিয়ায় আরও যতজনকে পারব সামিল করতে চাইব যাতে আমাদের সিদ্ধান্তটি গুরুত্ব পায় এবং আমরা বলিষ্ঠ বার্তা পাঠাতে পারি। ইসরায়েলের জনগণ যেমন নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ পাওয়ার অধিকার রাখে তেমনি ফিলিস্তিনের জনগণেরও সে অধিকার আছে। তাই সমান সার্বভৌমত্ব,সমান মর্যাদা হওয়া চাই।”
তবে ইসরায়েল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিরোধিতা করে আসছে। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতিতে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চার ইইউ দেশকে ইসরায়েল বলেছে, “তাদের এ উদ্যোগ সন্ত্রাসবাদকে পুরষ্কৃত করাই হবে।” এতে করে প্রজন্মের পর প্রজন্মের পুরোনো সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ কমে যাবে।