ঈদের দিন দুপুর থেকে রোববার পর্যন্ত ৪ দিনে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় পার্কে পর্যটক এসেছে ১১ হাজার ১৮৮ জন। এ থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮৭ টাকা। ওই সময়কালে বিদেশি পর্যটক এসেছিল ৬ জন। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলের অন্যান্য পর্যটন স্পট মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। লাউয়াছড়ায় জীববৈচিত্র্য রক্ষার কাজে নিয়োজিত বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ঈদের দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাউয়াছড়ায় পর্যটক এসেছে সাড়ে ৩ হাজার ৩৩ জন। এরমধ্যে বিদেশি পর্যটক ছিল ১ জন। ওইদিন রাজস্ব আয় হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬৯ টাকা। ঈদের দ্বিতীয় দিন লাউয়াছড়ায় পর্যটক প্রবেশ করে ২ হাজার ৪৬১ জন। বিদেশি ছিল ৫ জন। রাজস্ব আয় ছিল ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৬ টাকা। ঈদের তৃতীয় দিন পর্যটক আসে ৩ হাজার ৩৩৪ জন। রাজস্ব আয় হয় ১ লাখ ৬০ হাজার ১৮৪ টাকা। ঈদের চতুর্থ দিন পর্যটকের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৬০ জন। রাজস্ব আয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা। সোমবার ঈদের পঞ্চম দিনেও লাউয়াছড়ায় পর্যটকের আগমন অব্যাহত রয়েছে। চা-বাগানগুলোতে এখন চলছে ভর মৌসুম। চা-বাগান পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। চা-কন্যাদের দু'টি পাতা একটি কুঁড়ি তোলার দৃশ্য দেখতে চা-বাগানগুলোতেও ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। মনোমুগ্ধকর এসব চা-বাগানের দৃশ্য ঘুরে ঘুরে দেখা আর সেলফি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন আগতরা। শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। বিশেষ করে বিভিন্ন পশু-পাখি আর বন্যপ্রাণী দেখে শিশুরা খুব আনন্দে মেতেছিল। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দুরে মাছের অভয়াশ্রম ও পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিল দেখতেও ছুটে গেছেন নারী শিশুসহ অনেক দর্শনার্থী। এছাড়াও লাউয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জি ও মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জিতেও ছিল দর্শনার্থীদের আনাগোনা। অনেকে ছুটে গেছেন নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠির পাড়াগুলোতে। খাসিয়া, মণিপুরী, ত্রিপুরা, গারোসহ বিভিন্ন পল্লি ঘুরে তাদের বিচিত্র জীবনধারা ও সংস্কৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন আগতরা। এদিকে কমলগঞ্জের মাধবপুর লেকেও ছিল ভ্রমনপিপাসুদের ভিড়। তাছাড়া শ্রীমঙ্গলের বধ্যভূমি ৭১-এ ঈদের দিন দুপুর থেকে আজ পর্যন্ত ভিড় লেগেই ছিল। শ্রীমঙ্গল পর্যটন পুলিশ সুত্র জানায়, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যটন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও পর্যটন পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে।