তাপপ্রবাহ প্রায় টানা দুই সপ্তাহ ধরে চলায় প্রচন্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এতে কালীগঞ্জ উপজেলায় কদর বেড়েছে হাতপাখার। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হাত পাখা তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়েছে কয়েকগুণ। তালপাখার দাম ও বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত বছরের চেয়ে এ বছর। কারিগররা এখন দিনরাত সমান তালে পাখা তৈরির কাজে ব্যস্ত। হাতপাখার কদর বৃদ্ধি পাওয়ায় বাণিজ্যিক ভাবে তৈরি হাতপাখা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরি করে বিক্রি করছেন অনেক ফেরিওয়ালা ব্যবসায়ীরা। কালীগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ি দুলাল উদ্দিন ফকির বলেন,এলাকার গরম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতপাখার কদর বেড়ে যায়। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ব্যাপক হারে হাতপাখার কদর বেড়েছে। গরমের শুরুতে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ পিস পাখা বিক্রি হতো। আর এখন গরমের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতপাখার চাহিদা প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এদিকে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারিতে পাখার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে বাঁশের হাতল দিয়ে তৈরি প্রতি পিস হাতপাখার দাম পড়তো ১০ টাকা, এখন সেই হাতপাখা পাইকারি প্রতি পিস পাইকারি বিক্রি করতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। অবশ্য খুচরা দোকানে ব্যবসায়িরা ও বিভিন্ন ফেরিওয়ালা প্রতি পিচ তালপাখা বিক্রি করছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।এ বছর গরমের শুরুতে হাতপাখার চাহিদা এত ছিল না। হঠাৎ গরম বেশি পড়ার কারণে পাখার চাহিদা দিগুণেরও বেশি বেড়েছে। হাতপাখা ক্রেতা দিলিপ কুমার সেন বলেন, অনেক বেশি গরম পড়ছে। তাই ৬০ টাকা দরে দুইটি হাতপাখা ১২০ টাকায় কিনেছি। ব্যবসায়ি ও ক্রেতারা বলছেন এ বছর তাল পাখার দাম অতিরিক্ত বেশি যা বিগত বছর গুলোতে এত বেশি ছিল না। অন্যদিকে পাখা তৈরি কারিগররা বলছেন তাল পাতা পাওয়া যাচ্ছে না ও অন্যান্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা বলছেন, মাঠে ঘাটে কাজ করতে গিয়ে তীব্র রোদে শরীর পুড়ে যায়। কিছুক্ষণ কাজ করার পরে শরীর ঘেমে আর কাজ করতে ইচ্ছে হয় না। তাই কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রামের সময়ে হাতপাখার বাতাসে শরীরটাকে ঠান্ডা করা যায়। এতে একটু হলেও তো প্রশান্তি অনুভব করা যায়।
কালীগঞ্জে গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর
এফএনএস (টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ) :
তাপপ্রবাহ প্রায় টানা দুই সপ্তাহ ধরে চলায় প্রচন্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এতে কালীগঞ্জ উপজেলায় কদর বেড়েছে হাতপাখার। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হাত পাখা তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়েছে কয়েকগুণ। তালপাখার দাম ও বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত বছরের চেয়ে এ বছর। কারিগররা এখন দিনরাত সমান তালে পাখা তৈরির কাজে ব্যস্ত। হাতপাখার কদর বৃদ্ধি পাওয়ায় বাণিজ্যিক ভাবে তৈরি হাতপাখা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরি করে বিক্রি করছেন অনেক ফেরিওয়ালা ব্যবসায়ীরা। কালীগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ি দুলাল উদ্দিন ফকির বলেন,এলাকার গরম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতপাখার কদর বেড়ে যায়। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ব্যাপক হারে হাতপাখার কদর বেড়েছে। গরমের শুরুতে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ পিস পাখা বিক্রি হতো। আর এখন গরমের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতপাখার চাহিদা প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এদিকে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারিতে পাখার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে বাঁশের হাতল দিয়ে তৈরি প্রতি পিস হাতপাখার দাম পড়তো ১০ টাকা, এখন সেই হাতপাখা পাইকারি প্রতি পিস পাইকারি বিক্রি করতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। অবশ্য খুচরা দোকানে ব্যবসায়িরা ও বিভিন্ন ফেরিওয়ালা প্রতি পিচ তালপাখা বিক্রি করছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।এ বছর গরমের শুরুতে হাতপাখার চাহিদা এত ছিল না। হঠাৎ গরম বেশি পড়ার কারণে পাখার চাহিদা দিগুণেরও বেশি বেড়েছে। হাতপাখা ক্রেতা দিলিপ কুমার সেন বলেন, অনেক বেশি গরম পড়ছে। তাই ৬০ টাকা দরে দুইটি হাতপাখা ১২০ টাকায় কিনেছি। ব্যবসায়ি ও ক্রেতারা বলছেন এ বছর তাল পাখার দাম অতিরিক্ত বেশি যা বিগত বছর গুলোতে এত বেশি ছিল না। অন্যদিকে পাখা তৈরি কারিগররা বলছেন তাল পাতা পাওয়া যাচ্ছে না ও অন্যান্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা বলছেন, মাঠে ঘাটে কাজ করতে গিয়ে তীব্র রোদে শরীর পুড়ে যায়। কিছুক্ষণ কাজ করার পরে শরীর ঘেমে আর কাজ করতে ইচ্ছে হয় না। তাই কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রামের সময়ে হাতপাখার বাতাসে শরীরটাকে ঠান্ডা করা যায়। এতে একটু হলেও তো প্রশান্তি অনুভব করা যায়।