রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিশুর মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনার ৎুভ ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে লক্ষ্মীনগর এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন জান্নাতী খাতুনের (৯) মরদেহটি উদ্ধার করে।
জান্নাতী খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলা বাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে। এ ছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছে চুয়াডাঙ্গার জয়দেবপুরের পাটঘাট গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে ঝিলিক খাতুন (১০)। তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি।
জানা যায়, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়ার মানিকের চরে আবদুল মান্নানের মেয়ে হালিমা খাতুনের ঈদের পরের দিন বিয়ে খেতে আসে। রোববার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়ার মানিকের চর মসজিদের পদ্মা নদীর ঘাটে গোসলে নেমে দুই শিশু নিখোঁজ
এ বিষয়ে মানিকের চরের পলাশ হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই আবদুল মান্নানের মেয়ে হালিমা খাতুনের একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে স্বপন আলীর সাথে শনিবার বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়ে খেতে তারা স্বপরিবার নিয়ে ঈদের পরের দিন আমার ভাই এর বাড়িতে আসে। রোববার তারা নিজ নিজ বাড়ি চলে যাবে। এরমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পদ্মা নদীর ধারে বাড়ি হওয়া দুই শিশু গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়েনের ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বার পারুল আখতার বলেন একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার হওয়া জান্নাতি খাতুনের মরদেহ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলা বাজার চর এলাকার নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে চারঘাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়াস সার্ভিসের একটি দল কাজ করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত একজনের সন্ধান পাওয়া গেলেও আরেকজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।