বৈশাখের তীব্র রোদ, অসহনীয় গরম ও তাপপ্রবাহের সাথে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। রোদের প্রখরতা আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের খরার কারণে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলকূপে পানি উঠছে না। তীব্র রোদ ও অসহনীয় গরমে রাস্তাঘাটে লোকসমাগম কমে গেছে। চাটমোহরে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ মাত্রা ছিলো ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
চাটমোহরসহ আশপাশের উপজেলায় বৈশাখের ভ্যাপসা গরম আর তাপদাহের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। গরম আর লোডশেডিংয়ে অস্থির হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন ৬/৭ বার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (চাটমোহর) এর আওতাধিন ৬টি উপজেলায় কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুতের ভযাবহ লোডশেডিং চলছে। ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সেচকার্য। প্রতিদিনই ৬ থেকে ৭ ঘন্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে।
চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরøী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, চাহিদার তুলনায় প্রতিদিন বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকছে। গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। ফলে লোডশেডিং বেড়ে গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে সূত্রে জানা যায়, গ্রাহকসেবার সুবিধার্থে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর ও আটঘরিয়া উপজেলাসহ পাবনা সদর ও ঈশ^রদী উপজেলায় আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ -এর মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিউল আলম বলেন, আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। প্রতি ঘন্টায় চাহিদার তুলানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে গড়ে ১৫ থেকে ২০ মেগাওয়াট। এর ফলে দিন-রাতে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।