পিরোজপুরের নাজিরপুরের ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১১) কে মুখ বেঁধে ধর্ষনের অভিযোগে দুই সন্তানের জনক জিয়া উদ্দিন শেখ (৩৫) এর নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ভক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোদারা গ্রামে। ধর্ষক জিয়া উদ্দিন শেখ (৩৫) একই এলাকার আবদুল হাই শেখের ছেলে। জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ঘটনার ৪ দিন পরেও কোন মামলা করতে পারেন নি ভুক্তভোগীর পরিবারটি। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র বিষয়টি মিটমাট করে দেয়ার কথা বলে মামলা না করতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ দেয়। পরে থানা পলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মৌখিক ভাবে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে এনে মামলা নেন। ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা জানান, গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তার কন্যা একই এলাকার তার চাচাতো ভগ্নিপতি হান্নান সর্দারের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় পাশের বাড়ির উপর থেকে আসার সময় ধর্ষক জিয়া শেখ তাদের ঘরে কেহ না থাকার সুযোগে ওই শিশুটিকে ঘরে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তাকে জোর করে ধর্ষন করে। স্থানীয় প্রাবশালীরা বিষয়টি মিট-মাট করে দিতে ও মামলা না করার জন্য চাপ দেওয়ায় গত ৪ দিনেও তিনি মামলা করতে পারেন নি। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় প্রভাবশালী। তাই স্থানীয় অন্য প্রভাবশালীরা তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ দেয়া সহ কালক্ষেপন করেন। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। এমনকি তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি। তবে অভিযুক্তের পিতা বলেন, তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, মৌখিকভাবে বিষয়টি খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগী ও পিতাকে এনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।