চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নেমে ছিল। ভোর পৌনে ছয়টা থেকে শুরু হওয়া বৃস্টি সোয়া আটটা পর্যন্ত স্হায়ী ছিল। নতুন বাংলা মাস বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে এই বৃষ্টি ইরি/বোরো ধানসহ মৌসুমি শাক সবজি ও তরিতরকারি জন্য সীমাহীন উপকার হয়েছে। উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন স্হানে এখন রোপা ইরি/ বোরো ধানের ফুল বের হচ্ছে। বৃষ্টি কারণে ফসলের মাঠ সঞ্চিবনী শক্তি ফিরে পেয়েছে। প্রয়োজনের সময় এই বৃষ্টি ধানের জন্য খুবই উপকার হয়েছে। বৃষ্টির সাথে হালকা, মাঝারি দমকা হাওয়া এবং প্রচন্ড আওয়াজে বজ্রপাতে স্হানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বাতাসের কারণে গাছের আম ঝড়ে পড়েছে। বিদ্যূতের অপর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে বেশির ভাগ সময় বিদ্যূৎ বিহীন থাকতে প্রচন্ড গরমে লোকজন অতিস্ট হয়ে পড়েছিল। ভোরের এই বৃষ্টি মানুষের মধ্যে স্বস্তির ভাব ফিরে এসেছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদ উঠার পর গরমের তীব্রতা আবার ও সীমাহীন বৃদ্ধি পায়। দমকা হাওয়ায় চারিয়া ইজতমা মাঠে স্থাপিত মদিনা মসজিদের একটি অংশেন চালা উড়ে গিয়ে হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়কের উপর গিয়ে পড়লে এই মহাসড়ক গাড়ি চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পরে স্হানীয় লোকজন এসে মহাসড়কের উপর পড়া চালা অপসারণ করলে সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি কারণে ধুলাবালির প্রকোপ সীমাহীন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। বৃষ্টি ফলে ধুলাবালির প্রকোপ কিছুটা কমেছে। ৩নং মির্জাপুর ইউ পির সাবেক মেম্বার রুপেন কুমার শীল জানান, বৃষ্টির সাথে বয়ে যাওয়া প্রচন্ড বাতাস তার ও আশে পাশের অনেক গাছের আম ঝড়ে পড়ে গেছে। ১১নং ফতেপুর ইউ পি চেয়ারম্যান জায়নুল আবেদিন জানান, তাঁর ১৫/১৬টি গাছের বেশ কিছু আম প্রচন্ড বাতাসে ঝড়ে পড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার জানান, গতকালের বৃষ্টি ইরি/বোরো ধান ও মৌসুমি সবজির জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। আরো ভালোভাবে বৃষ্টি হলে ফসলের জন্য অনেক উপকার হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।