একদিকে বৃষ্টি যেমন রহমত, পুনরায় কিছুকিছু ক্ষেত্রে আজাবও হতে পারে। এ কারণে বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃষ্টি দেখলেই মহান আল্লাহ তাআলার পাশে উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করতেন। হাদিসে এসেছে- হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, যখন বৃষ্টি হতো তখন রাসূল সা.বলতেন- اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সয়্যিবান নাফিআহ’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারী হয়’। (বুখারি, হাদিস: ১০৩২; নাসায়ি, হাদিস: ১৫২৩) বৃষ্টি চলমান সময়ে দোয়া সাধন সুন্নত। হজরত সাহল বিন সাদ রা. বলেন, দুই সময়ের দোয়া খুব কমই ফেরত দেওয়া হয়- আজানের সময়ের দোয়া এবং রণাঙ্গনে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার সময়ের দোয়া। ভিন্ন বর্ণনায় রয়েছে, বৃষ্টির সময়ের দোয়া। (আবু দাউদ ২৫৪০) অতি বৃষ্টি বন্ধে দোয়া:- অতি বৃষ্টি হলে তা বন্ধের জন্য হজরত মুহাম্মদ সা. দোয়া পড়তেন। হজরত আনাস রা. বলেন, এক জুমার দিন হজরত মুহাম্মদ সা. খুতবা দেওয়া অবস্থায় এক সাহাবি মসজিদে প্রবেশ করে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল আমাদের জন্য বৃষ্টির প্রার্থনা করুন। তখন হজরত মুহাম্মদ সা. দুই হাত সম্প্রসারিত করে দোয়া করলেন-
اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالْجِبَالِ وَالآجَامِ وَالظِّرَابِ وَالأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়া লা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল ঝিবালি ওয়াল আঝামি ওয়াজ জিরাবি ওয়াল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাঝারি।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমাদের আশপাশে, টিলা, মালভূমি, উপত্যকায় এবং বনভূমিতে বৃষ্টি বর্ষণ করুন। (বুখারি ৯৩৩; মুসলিম ৮৯৭) আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে বৃষ্টির সময়ে উত্তম আমল যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।