কমবেশি সবারই গাড়ির শখ থাকে। গাড়ি এখন আর শুধু পরিবহণের মাধ্যম নয়। উন্নত ফিচার এবং সফটওয়্যারে সজ্জিত হয়ে সে নিজেই যেন পুরো পৃথিবী। গাড়িতে যেতে যেতেই অনলাইনে সিনেমা দেখা যায়। অথবা অফিসের কাজ। সবকিছুই ওয়াই-ফাইয়ের দৌলতে। অথচ গাড়িতে কীভাবে ওয়াই-ফাই ইনস্টল করতে হয়? সেটা জানেন না অনেকেই।
জেনে নিন কীভাবে গাড়িতে ওয়াই-ফাই ইনস্টল করবেন-
ওয়াইফাই হটস্পট আছে কি না
কিছু গাড়িতে ইনবিল্ট ওয়াই-ফাই থাকে। তবে বেশিরভাগ গাড়িতেই ওয়াই-ফাই চালানোর জন্য আফটারমার্কেট গ্যাজেটের প্রয়োজন হতে পারে। বিষয়টা ভালো করে বুঝে নেওয়ার জন্য গাড়ির ম্যানুয়াল দেখে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা
ওয়াই-ফাই ইনবিল্ট না থাকলে সেটআপ করার জন্য সামান্য গ্যাজেট কিনতে হবে। যেমন পোর্টেবল হটস্পট, ডঙ্গল এবং ওবিডি-২ অ্যাডাপ্টার। প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী উপযুক্ত বিকল্প বেছে নিতে পারেন গ্রাহক। ডিভাইস ইনস্টল করার পালা
গাড়িতে ওয়াই-ফাই ডিভাইস ইনস্টল করার জন্য প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলি নকল করতে হবে। সাধারণত ডিভাইসটিকে ড্যাশবোর্ডে মাউন্ট করতে হয়। তারপর গাড়ির অডিও সিস্টেমের সঙ্গে বা ডিভাইসটিকে ওবিডি-২ পোর্টে প্লাগ করতে হয়। ওবিডি-২ স্থানীয় ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক তৈরি করে এবং গাড়ির ভেতরে সব মোবাইল ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে দেয়।
ওয়াই-ফাই চালু
ডিভাইস সেটআপ হয়ে গেলে ফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপের সঙ্গে ওয়াই-ফাই কানেক্ট সাধন যাবে। এটা কীভাবে করতে হয়, তা জানতে প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলিতে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। ডিভাইস ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে কানেক্ট হয়ে গেলে, সবকিছু ঠিক আছে কি না দেখার জন্য নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করে দেখা উচিত। একটা ভিডিও চালালে বা ওয়েবসাইট খুললেই কানেকশনের স্থায়িত্ব অথবা নির্ভরযোগ্যতা বোঝা যাবে। দীর্ঘ রেঞ্জ এবং দ্রুত সংযোগ চাইলে বেতার রাউটার সেরা বিকল্প। এই রাউটারগুলোতে ইন্টারনেটের স্পিড বিল্ট ইন রাউটারের সঙ্গে তুলনীয়। অনায়াসে বড় ফাইল আপলোড বা ডাউনলোড অথবা লাইভ স্ট্রিমিং সাধন যায়। এই রাউটারগুলো, মোবাইল হটস্পট ডিভাইসের মতো, ডেডিকেটেড ডাটা প্ল্যান বা সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন হয়, যা সাধারণত বেশ ব্যয়বহুল।