নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী অঞ্চল কলমাকান্দা উপজেলায় চলমান দাবদাহে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বৃষ্টির প্রত্যাশায় কাদছে মানুষ। আবহাওয়া প্রতিকুলতায় ভূগছেন সাধারণ মানুষ। তীব্র এ তাপমাত্রায় বিবর্ণ হয়ে উঠেছে নেত্রকোনার সবুজ প্রকৃতি ও ফসলি জমি। রুক্ষ আবহাওয়ায় গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। দাবদাহে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। একটু বৃষ্টি ও শীতল হাওয়ার পরশ পেতে সাধারণ মানুষ যেন হাপিয়ে আছে। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। গত ছ'মাসে একদিন একটু বৃষ্টি হয়েছিল, সেটিও গত মার্চে। বলা যায় টানা বৃষ্টিহীন থাকায় মাঠ ঘাট ফসলি জমি ফেটে চৌচির অবস্থা বিরাজ করছে।
নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অব্যাহত ভাবে নামছে পানির স্তর। নিচে নামার ধরনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গভীর সাম্মাসেবল পাম্পও, ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকটও তীব্র দেখা দিয়েছে এ অঞ্চলে। এতে গরমের মাত্রা আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। এই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় জ¦র ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ মানুষজন। চলতি সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০, ২১, ২৪ ও ২৬ নং সিট ঘুরে এমনটাই দেখা গিয়েছে। এ ছাড়াও হাসপাতালের আউটডোর জরুরি বিভাগে ভিড় বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ অঞ্চলের পরিস্থিতি বিরুপ দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কতৃপক্ষ ডা: আল মামুন বলেন, এখনো আমাদের হাসপাতালে রোগীর পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে। তবে গরম যত বাড়ছে শিশু রোগীও তত বাড়ছে। অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, টানা সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি ঘরে ছিল তাপমাত্রা আর সর্বোনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।