বিএনপির কেন্দ্রের নির্দেশে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চরফরাদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন।
শনিবার (২০এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে সোমবার ১৫ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বিগত ৩৮বছর ধরে আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। বিএনপির সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমি সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলাম। যেহেতু দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দিয়েছে, তাই আমি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই উপজেলা নির্বাচন থেকে আমি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ মেনে রাজনীতি করি। আমি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার চেয়ে দল ও দেশ অনেক বড়। আমার কাছে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২১ এপ্রিল জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করব।
এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান রিপন, জেলা বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদ রেজা, প্রবীন বিএনপি নেতা রেজাউল করিম বজলু ও ফজলুল হক, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি শামছুল হক মিঠু, সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক জর্জ, পৌর বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম জনি, চরফরাদী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিক হোসেন মেম্বারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহন ৮ মে।