ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় সুলতান মিয়া (২৪) নামের এক যাত্রী ও মিষ্টার মিয়া (১৩) এক শিশু হেলপার নিহত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪ টায় সরাইল-অরূয়াইল সড়কের ভূঁইশ্বর এলাকায় ও বিকাল ২ টায় সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের ধর্মতীর্থ এলাকায় দূর্ঘটনা দুটি ঘটেছে। সরাইল থানা পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ট্রাক্টর চালক আবুল হোসেন (২৬)। আবুল হোসেন চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগরাজোর গ্রামের অজু রহমানের ছেলে। একই ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের আক্তার মিয়ার ছেলে মিষ্টার। সম্পর্কে তারা মামা ভাগিনা। মামা আবুলের ট্রাক্টরের হেলপার তার ভাগিনা শিশু মিষ্টার মিয়া (১৩)। শনিবার বিকালে ভাগিনাকে নিয়ে লোপাড়া রহিম মার্কেট থেকে ট্রাক্টরটি চালিয়ে আবুল পাকশিমুলের দিকে যাচ্ছিলেন। পাতার হাটি এলাকার ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। মামা আবুল বেঁচে গেলেও ভাগিনা মিষ্টারের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে ঘটনা স্থলে মারা যায়। এর আগে বিকাল ২টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের ধর্মতীর্থ এলাকায় ট্রাক্টর ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. সুলতান মিয়া (২৪) এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩-৪ জন যাত্রী। নিহত সুলতান মিয়া নাসিরনগর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যাত্রীবাহী সিএনজিটি নাসিরনগর থেকে সরাইলের বিশ্বরোড মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। সিএনজিটি সরাইলের কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ এলাকায় আসার পর বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে মুচড়ে যায় সিএনজিটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান সুলতান মিয়া। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। ঘাতক ট্রাক্টরটি পালিয়ে গেছে। ট্রাক্টরটি আটকের চেষ্টা চলছে।