আসসালাতু কাজী নামের মাদকাসক্ত এক যুবকের জন্য এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এনিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সময়ে থানা সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেও মিলেনি কোন সুরাহা। বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের একাধিক পরিবারের পক্ষ থেকে ওই গ্রামের আচ্ছালাতু কাজী (৩০) এর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ হলো, আসসালাতু কাজী দিনে ঘুমালেও রাতে ঘুমানোর সুযোগ পান না। কারণ এলাকাবাসীকে জাগিয়ে রাখতে তিনি থাকেন সীমাহীন তৎপর। রাতে ঘুমন্ত মেয়েদের ঘরের বেড়া কেটে ফেলে সম্ভ্রম হানি চেষ্টা করা, হাস-মুরগী, গরু -ছাগল চুরি অথবা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা করা, কোন নারী ঘরের বাইরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে ঝাপটে ধরা সহ সারা রাত অপকর্মে পার করা। এমনকি তার বিচরণে যেন, কোন প্রকার বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য একে একে ওই এলাকার সকল কুকুর বিষ প্রয়োগে হত্যা করে ফেলেছেন বলেও ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
সবশেষে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যে কোন সময় ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শরীফ তরিকুজ্জামানের মটরসাইকেল পোড়ানোর চেষ্টা করে আচ্ছালাতু। বাঁশের একটি কন্চির মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে আগুন ধরিয়ে বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঘরের মধ্যে থাকা মটরসাইকেল পোড়ানোর চেষ্টা করে। এতে মটরসাইকেলটির পেছনের চাকার টায়ার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায় অনেক দিন পূর্বে একটি অপকর্মের ঘটনায় হাতে নাতে ধরে বেঁধে রাখার পর থেকে ওই ইউপি সদস্যের ক্ষতি করে চলেছেন আচ্ছালাতু। এসকল অপকর্মে আচ্ছালাতুর পরিবারের মদদ রয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী। ইউপি সদস্য শরীফ তরিকুজ্জামান আরো জানান, তিনি এ ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন। এর পূর্বেও তিনি থানায় জিডি ও আদালতের আশ্রয় নিয়েছে। এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য বাড়িতে গেলেও সাংবাদিকের এড়িয়ে যান আচ্ছালাতু কাজীর। এ সময় তার বোন মুসলিমা বলেন, এলাকায় যা কিছু ঘটে সবকিছুর আচ্ছালাতুকে দায়ী করা হয়। অন্যরা অপরাধ করলেও সেটা আড়ালে থাকে। থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলম জানান, তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।