কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, ভৈরব, কটিয়াদী, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইনসহ আশেপাশের সব কয়টি উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং এ পরেছেন কয়েক লাখ বিদ্যু গ্রাহক। আর.ই.বি প্রায় লক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক দিনে রাতে মিলে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন এবং ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ পরেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এছাড়া ভি.পি.ডি.পি এর আওতায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর মধ্যে আছে সাধারণ গ্রাহক। প্রায় ১৪ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন গ্রাহকরা। এই বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধ। লেখাপড়া শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে পাঠাব্যাস বিঘিœত হয়ে পড়ছে। হাসপাতাল গুলোতে সিটে রোগী ঠাই না পেয়ে ফ্লোরের মধ্যে চিকিৎসকগণ রোগীদেরকে জায়গা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে বয়স্ক রোগীরা টাইফয়েড, আমাশয়, পানিবাহিত রোগ, হার্ট দুর্বলসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। কখন বিদ্যুৎ যায় ও কখন বিদ্যুৎ আসে এই দুইটির বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেন জমিদারি প্রথায় রয়েছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ না পেয়েও মাসের পর মাস ভুতুরে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে ঠিকই। তারপরও এই দুটি বিভাগের কর্মকর্তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। একটু বৃষ্টি হলেই কয়েকঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার বালাই নেই। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ কিছু কিছু বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকরা হচ্ছে দিন দিন তাদের হাতের পুতুল। বাণিজ্যিক গ্রাহকরা বিদ্যুৎ না পাওয়ার কারণে তাদের ব্যবসা লাঠে উঠার উপক্রম হচ্ছে। গত কিছুদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে ও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা। অন্যদিকে এই অতিষ্ঠ গরমে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শিশু এবং বৃদ্ধ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হচ্ছে। এর ফলে এই বৃদ্ধ এবং শিশুরাও হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বেডের মধ্যে রোগী থেকে আরও বেশি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ গ্রাহকদের একটি মাত্র দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই বিষয়টির ভেবে দেখবেন কি।