বড়াইগ্রামে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে জমি ও বিপুল অঙ্কের টাকা আতœসাতের অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার উপজেলার রামেশ্বরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কালে ক্ষতিগ্রস্থরা বিষের বোতল হাতে নিয়ে জমি ও টাকা ফেরৎ দেয়ার দাবি জানান। অন্যথায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এক সঙ্গে বিষপানে আতœহত্যার হুমকি দেন তারা। মানববন্ধনকালে ক্ষতিগ্রস্থ রামেশ্বরপুর গ্রামের কাওসার আলী সরদার, জামাত আলী সরদার, রিক্তা খাতুন ও ব্যবসায়ী রবিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনকালে রিক্তা খাতুন বলেন, আমাকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ২০১৬ সালে প্রধান শিক্ষক সারওয়ার হোসেন পিঞ্জু মোট ৯ লাখ টাকা নেন। কিন্তু ৯ বছরেও আমাকে নিয়োগ দেননি। সম্প্রতি জানতে পেরেছি, আরও বেশি টাকা নিয়ে তিনি এ পদে আরেকজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এখন আমি টাকা ফেরৎ চাইলে তাও দিচ্ছেন না।
কাওসার আহমেদ বলেন, আমাকে দপ্তরী পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে পিঞ্জু মাষ্টার ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এতো দিন ঘুরিয়ে এখন গোপনে অন্য একজনকে নিয়োগ দিয়ে দিয়েছেন। এখন টাকাতো দিচ্ছেই না, উল্টো টাকা চাইলে আমাদের নামে থানায় চাঁদাবাজির মামলা করার হুমকি দেন।
জামাত সরদার বলেন, আমার পিতা এ স্কুল প্রতিষ্ঠাকালে হেড মাষ্টার তাকে নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ১২ শতাংশ জমি লিখে নেন। কিন্তু পরে আর তাকে নিয়োগ দেননি। সেই জমির শোকে আমার বাবা ধুঁকে ধুঁকে মারা গিয়েছেন।
ব্যবসায়ী রবিন আহম্মেদ বলেন, তিনি ধার নেয়া, নিজের স্কুলসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরী দেয়া বা ব্যবসার কথা বলে আমিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে ৩০-৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব টাকার ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন সমাধান পাইনি।
তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সারওয়ার হোসেন পিঞ্জু বলেন, তাদের সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে। তবে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। তাদের টাকা আমি ফেরৎ দিতে চেয়েছি। আর ১২ শতাংশ নয়, দুই শতাংশ জমি দান করেছেন। সেটা চাকরী দেয়ার শর্তে নয়।