জামালপুরে সরকারী খাস ফসলী জমি পুকুর খনন করে স্থানীয় ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, সদর উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে সাউনিয়া মৌজার নিরখাল বিলে ৭০শতাংশ সরকারি খাস ফসলী জমি সন্ধ্যা রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সময়ে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করছেন স্থানীয় এক শ্রেনীর ভূমি খোকোরা। ভূক্তভোগিদের অভিযোগ, ৭০ শতাংশ সরকারী খাস জমিতে তিনটি পুকুর খনন করায় একদিকে বর্ষার মৌসুমে পুকুরের চারদিকে পাড় ভেঙ্গে তাদের ফসলী জমির মারাত্বক ক্ষতির সুম্মুখ হতে পারে। অপর দিকে সরকারি আদেশ অমান্য করে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করে রাতারাতি আঙুল ফলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন ভূমি খেকোরা। এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন দেখেও যেন না দেখার ভান করছেন। অভিযোগকারি ভূক্তভোগিদের অভিযোগ কিভাবে সরকারি ফসলী খাস জমির মাটি কেটে দিনের পর দিন পুকুর খনন করে ইট ভাটায় মাটি বিক্র করা হচ্ছে তা নিয়ে সংকিত হয়ে পড়ছেন এলাকাবাসি। গত ২২ এপ্রিল সোমবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,সদর উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে সাউনিয়া মৌজার নিরখাল বিলে বিআর এস ১নং খতিয়ান ভূক্ত ১৪০১নং দাগের ৭০শতাংশ সরকারি খাস ফসলী জমি থেকে তিতপল্লা সাইতেনিপাড়ার বাসিন্দা জয়নদ্দিনের ছেলে মুকসেদ আলী ও মোতালেব গংরা প্রতিদিন সন্ধ্যা রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত সময়ে ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করে ট্রাকে তোলে সেই মাটি বিক্রি করছেন নারিকেলী গহেরপাড়া স্থানীয় আলফা ইট ভাটায়। এ ব্যাপারে মুকসেদ আলী ও মোতালে এর কাছে সরকারি খাস ফসলী জমি পুকুর খননের বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন, ৭০ শতাংশ জমি আমরা পত্তন নিয়ে মাটি কেটে পুকুর খনন করছি বলে জানান। এ বিষয়ে শাহাবাজপুর ইউনিয়ন তহশীলের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের কাছে খাসজমি পুকুর খননের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি যেনে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়ে ছিলাম। এ ব্যাপারে জামালপুর সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার(ভূমি) শিহাবুল আরিফ এর কাছে সরকারী খাস ফসলী জমিতে পুকুর খনন আইন সংগত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সম্পর্কে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।