ভোলার দৌলতখানে মায়ের বিরুদ্ধে ১২ বছরর শিশু রমজান হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। অপরদিকে ঘটনাটি আত্মহত্যা না হত্যা বিষয়টি নিয়েও এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালাচ্ছে রমজানের মা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে। রমজানের
মায়ের নির্মম মারপিটের আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার প্রগান্ডা চলছে।
রোববার রাত সাড়ে ১০ টার সময় চরপাতা ইউনিয়নের লেজপাতা গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের মুরাদ হাওলাদার বাড়িতে ছায়েদ আলীর বাড়িতে নির্মম ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়ারা জানায়, রমজান নিজ ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে মায়ের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাটি জানতে পায়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে এবং রমজানের মা ফাতেমাসহ লাশ থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, রমজানের বাবা ছায়েদ আলী একটি মামলায় জেলহাজতে থাকার সুবাদে শিশু পুত্র রমজান নিজস্ব পানবরজ থেকে মায়ের অজান্তে পান সংগ্রহ করে বিক্রি করে পকেট খরচ চালাতো। এ ঘটনায় মা ফাতেমা বেগম জানতে পেরে তিন চারদিন আগে রমজানকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে ব্যাপক মারধর করে। রোববার সকালে মায়ের সম্মতিতে পানবরজ থেকে পান নিয়ে বোরহানগঞ্জ বাজারে নিয়ে বিক্রি করে মায়ের কাছে টাকা ফেরত দেয়। বিকালবেলা আবারও পানবরজে গিয়ে পান সংগ্রহ করার সময়ে মায়ের হাতে ধরা পরে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে এসে ফের ব্যাপক মারধর করে মা। এলাকাবাসীর অভিযোগে মায়ের নির্মম আঘাতেই ছেলে রমজানের মৃত্যু হয়েছে।
দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যরঞ্জন খাসকেল জানায়, লাশ ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।