হিটস্ট্রোক ঝুঁকি সম্পর্কে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আয়োজনে বিশেষ সায়েন্টিফিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন-‘অতিরিক্ত গরম এবং পানিশূন্যতা এড়ানোর জন্য সাবধানতা অবলম্বন করে হিটস্ট্রোক ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব।
মঙ্গলবার সকাল দশটায় মেডিকেল কলেজের কনফারেন্স রুম অনুষ্ঠিত সায়েন্টিফিক সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, হিটস্ট্রোকে সবচেয়ে বেশি শিশু, বয়স্ক, যারা ডায়বেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভুগছেন তাদের জন্য ঝুঁকি বেশি। তাই তাদেরকেই সবচেয়ে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ জিএম নাজিমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তরা আরো বলেন, বর্তমানে দেশজুড়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এতে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই হিটস্ট্রোক ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। খুব প্রয়োজন না হলে রোদে যাওয়া যাবে না। হিটস্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য ঢিলেঢালা, হালকা, হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে, ঠান্ডা তরল খাবার খেতে হবে। ডিহাইড্রেশন হওয়া প্রতিরোধ করতে হবে। অ্যালকোহল এরিয়ে চলতে হবে, ডিহাইড্রেশন যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, লবণ মিশ্রিত পানি খেলে ভালো হয়, বিশেষ করে স্যালাইন খেতে হবে। এ ছাড়া যেসব শ্রমিকরা কাজ করেন তাদের কিছু সময় পরপর ছায়ার মধ্যে আসতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কাজল কান্তি দাস বলেন, হিট স্ট্রোকের মূল ঝুঁকি মূলত যারা দীর্ঘসময় রোদে থাকেন তাদের। দীর্ঘসময় গরমে থাকার কারণে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এ অবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিটস্ট্রোক হয়। অতিরিক্ত গরমে পেশী বাঁধা, ভারী ঘাম, চরম দুর্বলতা, বিশৃঙ্খলা, মাথা ব্যাথা, বমি, রেসিং হার্টবিট, গাঢ় রঙের প্রসাব ও চামড়া ফ্যাকাশে হলেই দ্রুত নিকটতম স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আজিজুল হক, শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ উত্তম কুমার সাহা, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ এজেটএম ইমরুল কায়েস, ডাঃ স্বপন কুমার সরকার, ডাঃ অমিতাব সরকার, ডাঃ এফআর খান, ডাঃ সৌরভ সুতার প্রমুখ।